আজ মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের রৌদ্রদীপ্ত ডিসেম্বর মাসের ৬ষ্ঠ দিন। মুক্তিযুদ্ধ তথা জনযুদ্ধ চলাকালে এ দিনটি ছিল স্বাধীনতাকামী জনতার জন্য খুবই একটি সুখের দিন। কোমল হৃদয়ের বাঙ্গালিরা যে সময়ের প্রয়োজনে পাথর কঠিনও হতে পারে তা ষোলআনাই জানিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে।
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতী দেয়। এদিন সকালে ভারতের লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতী প্রদান করেন এবং বাংলাদেশ সরকারকে বৈধ সরকার বলে ঘোষণা দেন। এরপর বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামকে দেয়া এক চিঠিতে ইন্ধিরা গান্ধী তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ভারতকে প্রথম অনুসরণ করে ভুটানের রাজা মি. জিগমে সিংগে ওয়ানচুক বাংলাদেশের বাস্তব অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বৈধ বলে স্বীকার করে নেন।
উল্লেখ্য, ৩ ডিসেম্বর ভারতের ওপর পাকিস্তানী বিমানবাহিনীর আক্রমণও মূলত পরিস্থিতি দ্রুত বদলানোর পেছনে ভূমিকা রেখেছে। সেদিন থেকে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পরবর্তীতে অনুপ্রাণিত মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক শহর ও এলাকা দ্রুত দখল করতে থাকে এবং পাকবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করে। প্রফেসর মযহারুল ইসলাম তার ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য’ গন্থেলিখেন, ‘এদিকে, পাকিস্তান ৩ ডিসেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে ভারত কঠোরভাবে তার মোকাবিলা করে এবং ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতী দেয়।