ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসন্ন মৌসুমের নিয়ম অনেকটা বদলে যেতে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পরিবর্ত ক্রিকেটারের নিয়ম আনতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এরইমধ্যে আইপিএলের দলগুলোকে সে বিষয়ে জানিয়েছে বোর্ড। মহামারি করোনার কারণে আইপিএলে ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ফরম্যাটে খেলা সম্ভব হয়নি গত দুই মৌসুমে। কিন্তু আসন্ন মৌসুম থেকেই আবার আগের মতো ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ফরম্যাটে ম্যাচ খেলবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে এরইমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘আইপিএলের আসন্ন মৌসুমে কৌশলগত একটা পরিবর্তন আসবে। যা আইপিএলকেই বদলে দিতে পারে। একজন ক্রিকেটার আইপিএলের ম্যাচে বেশি ক্ষমতা পাবে। কীভাবে কী হবে তা পরে জানিয়ে দেয়া হবে।’ যদিও পরিষ্কার করে বলা হয়নি যে নতুন নিয়মে ক্রিকেটার পরিবর্তন করা যাবে কি না। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে যেমন পরিবর্ত ক্রিকেটার ব্যবহার করা হয়েছিল, তেমনই আইপিএলেও হতে পারে। ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার ব্যবহার করা হতো। প্রথম একাদশ ঘোষণা করার সময়ই আরও চারজনের নাম জানিয়ে দেয়া হতো। তাদের মধ্যে থেকে একজনকে ম্যাচে কারও পরিবর্তে নামানো যেত। ইনিংসের ১৪তম ওভারের মধ্যে সেই পরিবর্তন করতে হতো। বোলার নামালে তাকে দিয়ে পুরো চার ওভার বলও করানো যেত। ব্যাটার নামালে তিনি ব্যাট করতে পারতেন। কিন্তু মুস্তাক আলি ট্রফিতে দেখা গেছে, প্রথমে দলে না থাকা কোনো ফিনিশারকে শেষ মুহূর্তে দলে নিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেছে দল। একইভাবে প্রথম দিকে দলে না নিলেও কোনো বোলার পরে এসে ডেথ ওভারে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। অনেক লিগে পরিবর্ত ক্রিকেটার আগেও ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সেই পরিবর্ত ক্রিকেটার সাধারণত যার বদলে মাঠে আসেন সেই ব্যাটার আউট হয়ে গিয়ে থাকলে ব্যাট করতে পারেন না আবার বোলার যে ক’টি ওভার বল করেছেন তার বাকি ওভারগুলো শুধু করতে পারতেন। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার সেই সুযোগটাই দিচ্ছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০০৫-০৬ সালে সুপারসাব হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। বিগ ব্যাশ লিগে এক্স-ফ্যাক্টর নিয়ম রয়েছে। সেখানে ১০ ওভার পর ক্রিকেটার বদলানো যায়। কিন্তু কেউই পুরোপুরি বল বা ব্যাট করার সুযোগ পান না।