রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

এইচএসসির প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক দুই শিক্ষককে তলব, অপর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানির ঘটনায় নড়াইলের দুই কলেজের দুই শিক্ষককে গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর বোর্ডে তলব করা করা হয়েছে। এ প্রশ্নের চারজন মডারেটরের মধ্যে দুজন ছিলেন নড়াইলের। তারা হলেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন ও মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ। প্রশ্নপ্রণেতা হলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। নড়াইল মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বোর্ড থেকে কোনো নির্দেশনা এলে আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবো। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে উসকানিমূলক প্রশ্ন করার ঘটনা তদন্তে যশোর শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর বোর্ড কর্তৃপক্ষ নড়াইলের দুই শিক্ষককে ডেকেছে। বোর্ড থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত রোববার সারাদেশে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে বাংলা প্রথমপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নের উদ্দীপকে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, যা ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্ন যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মডারেট করা হয়েছিল।
কমিটি : এদিকে চলমান এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নে সাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করাসহ বিভিন্ন বৈষম্যমূলক উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারিগরি বোর্ড। কমিটিকে পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নে একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিককে এভাবে হেয় করা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক খালেদ হোসেন এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ (ডিপ্লোমা) মোহাম্মদ শাহিন কাওসার সরকার। আলী আকবর খান বলেন, এ কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে বলা হয়েছে। এটি আসলে একটা মানহানিকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব বোর্ডে কেন এ ধরনের কাজ করছে, কী কারণে করছে সেটি জানা দরকার। এজন্য আমি খুবই দুঃখিত। প্রশ্ন আসলে বোর্ডের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। শিক্ষক প্রশ্ন প্রণয়ন করার পর মডারেটররা সেটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেন। শিক্ষকরা শিক্ষিত মানুষ হয়ে অশিক্ষিত কাজ করছেন, এটি দুঃখজনক। তবে দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নে কয়েকটি বিষয় নিয়ে বির্তক উঠেছে। সেসব খতিয়ে দেখা হবে। যেহেতু প্রশ্নটি একজন শিক্ষক করেছেন, সেহেতু তাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে। প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক কেন এ ধরনের বিষয় পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন সেটিও জানতে চাওয়া হবে। রোববার কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বাংলা-২-এর একটি সৃজনশীল প্রশ্নে উদ্দীপকে একজন লেখকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘২১ শে বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না। এ ছাড়া একই প্রশ্নপত্রে একজন নারীকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের একটি প্রশ্নে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নিয়ে বিতর্ক হয়। এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি তদন্ত করবে শিক্ষা বোর্ড। একই দিনে প্রশ্নপত্রে মুদ্রণজনিত ভুলের কারণে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন ও পুরোনো সিলেবাসের বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris