শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪২১ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও ২৮১০ বীর নিবাস নির্মাণ সম্পন্ন

Paris
Update : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলা ও প্রায় এক হাজার ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২১ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জানানো হয়, ২২ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ চলমান। মোট ৪৭০ উপজেলায় এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এছাড়া ২০৩টি স্মৃতিসৌধ ও ৩৮টি জাদুঘর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪৮টি স্মৃতিসৌধ ও ২৭টি জাদুঘর নির্মাণকাজ চলমান বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। সভায় জানানো হয়, ২ হাজার ৮১০টি বীর নিবাস (মুক্তিযোদ্ধাদের বাসগৃহ) নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৭ হাজার ৪১৬টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ চলমান। ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চলমান ১২টি প্রকল্পের অনুকূলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ করা মোট এক হাজার ১১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বিপরীতে গত অক্টোবর পর্যন্ত ৩০১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এ বছরের মোট এডিপি বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। সভায় মন্ত্রী প্রকল্পের ক্রয় এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জোর প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশনাও দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহৃত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ মিত্র বাহিনী সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্যানোরামা নির্মাণ (কারিগরি সহায়তা), বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের নৌকমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ বিষয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ ইত্যাদি প্রকল্প চলমান। এ ছাড়া আরও তিনটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়র সচিব খাজা মিয়া, অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহারসহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris