আসাদ : এক পুলিশ সদস্যর মা-কে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সদস্য নায়েক মোস্তফা কামাল বলেন, তাঁর বাড়ি বগুড়ার ধনুট থানার আনারপুর দহপাড়া গ্রামে। ১৯৯৭ সালে তাঁর মা, বাদশা মিয়ার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে বিচারক তাকে যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। দীর্ঘ ২৪ বছর কারাভোগের পরে জেল থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানী ও প্রাননাশের হুমকী প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এর প্রতিবাদে তার নানী মুন্নি খাতুন আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন করলে বাদশা মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত ৬ জুলাই রাতের অন্ধকারে নানীর ঘরের দরজা ও বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা মনোয়ারার মাথায়, পা ও হাতে আঘাতে জখম করে। এতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এতে তার মা অজ্ঞান হলেয় পড়লে তার নানীকে হত্যার উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা প্রদান করেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে গড়িমসি করলে পরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের আটক না করে মামলা তুলে নিতে বার বার চাপ প্রয়োগ করেন। সেইসাথে স্বাক্ষী ও তার মাকে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন এ অবস্থায় গত দুইদিন পুর্বে আবারও তার মাকে বেদম মারপিট করে ঐ সন্ত্রাসীরা। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা খারাপ দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এখম তার মা এই মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান মোস্তফা কামাল। তিনি সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী করেন।