শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

শিরোইল বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের খবর কী?

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

শাহানুর রহমান রানা
রাজশাহীর গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনয়ন ও মহানগরীকে যানজটমুক্ত করতে নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল নওদাপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল দুই মাস পূর্বে। গত ১ সেপ্টেম্বর দুুপুরে নগর ভবনের মেয়র দপ্তরকক্ষে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে জেলা প্রশাসন, আরডিএ, আরএমপি, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ছিল সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ। গৃহীত সিদ্ধান্তনুযায়ী গতকাল থেকে শিরোইল বাস টার্মিনালের পরিবর্তে নওদাপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল বাস চলাচল করার কথা থাকলেও যথার্থ সময়ে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। মধ্যনগরীকে যানজটমুক্ত করার প্রয়াসে নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত আজ পূর্ণতা পেলে নগর জীবনে ফিরে আসতো সস্তির সুবাতাস। দূরপাল্লার বাসগুলো নিজেদের গন্তব্যে যাবার জন্য শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে এখনো ছেড়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। একদিকে আন্তঃজেলা ও অভ্যন্তরিন বাস টার্মিনাল। আর অন্যদিকে, রেলওয়ে স্টেশন। যাত্রীদের যাতায়াত আর চলাফেরার এই ত্রিভুজ জঞ্জাল থেকে পরিত্রাণের একটি উপায় সংশ্লিষ্টরা বের করলেও সেটি অলৌকিক কারনে বাস্তবতার স্থান থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থান করছে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রি অবদি শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন রাস্তাগুলোতে দূরপাল্লার বাসগুলোর যত্রতত্র দাড়িয়ে থাকা আর সরু রাস্তা দিয়ে সার্বক্ষণিক চলাচল করাতে উক্ত স্থানটির ট্রাফিক জ্যামের পরিধি দিনদিন অসহনীয় পর্যায়ে পৌছেছে বলে মন্তব্য ভুক্তভোগীদের। বাসটার্মিনালের পশ্চিম দিকের কামারুজ্জামান চত্বরের জ্যাম ছুটতে না ছুটতেই শিরোইল বাস টার্মিনালের জ্যামে পতিত হয় যানবাহনগুলো। ঐ রাস্তা দিয়ে নগরীর উপকন্ঠসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায়শই আগমন ঘটে হাসপাতালগামী জরুরী এ্যাম্বুলেন্সের। টার্মিনাল আর রেলগেটের অভেদ্য জ্যাম পেরিয়ে হাসপাতাল কিংবা অন্যকোন স্থানে যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় চলাচলরত গাড়িগুলোকে।

টার্মিনাল স্থানান্তরের বিষয়ে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বাস) মালিক সমিতি রাজশাহী শাখার সেক্রেটারি মতিউল হক টিটু ও সহ-সভাপতি নূরুজ্জামান মোহন দৈনিক আমাদের রাজশাহীকে জানান, আমরা সার্বিকভাবে নওদাপাড়াস্থ টার্মিনালে যেতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নেয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে তারা এই টার্মিনালটি এখনো ব্যবহারপযোগী করে তুলতে না পারাতে আমরা সেখানে যেতে পারছিনা। টার্মিনালের ভেতরের রাস্তা ও কাউন্টারগুলো এখনো ব্যবহার অনুপযোগীবস্থায় পরে আছে। এছাড়াও অনেকগুলো কাউন্টারে দোকানপাট ও উপ-ভাড়াটিয়ারা ব্যবহার করছেন। তাদেরকে অন্যত্র স্থানান্তর না করা পর্যন্ত আমরা নওদাপাড়াস্থ টার্মিনালে স্থানান্তর হতে পারছিনা। মালিক সমিতির নেতারা আরো জানান, আন্তঃজেলা বা দূরপার্লার বাস টার্মিনাল নওদাপাড়াতে স্থানান্তর করাতে কোন সমস্যা না থাকলেও, অভ্যন্তরিন বাস টার্মিনাল সেখানে স্থানান্তরে রয়েছে নেতা ও বাস শ্রমিকদের অনিহা। এছাড়াও মালিক সমিতির নেতারা আরো বলেন, নওদাপাড়া টার্মিনালের যাত্রা শুরু করার পূর্বে রাত্রিকালিন সময়ে বাস যাত্রীদের নিরাপত্তা আর টার্মিনালজুড়ে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত নিশ্চিত করা। সরেজমিনে নওদাপাড়াস্থ টার্মিনালে গিয়ে দেখাগেছে প্রায় সমস্ত টার্মিনাল জুড়ে অগোছালো আর অপরিচ্ছন্নতায় ভরা। টার্মিনালের রাস্তাগুলো যেনো কয়েক বছল ধরে সংস্কার করা হয়না। টার্মিনালের যেখানে সেখানে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু আর ছাগল। মাদকাসক্তদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে পুরো টার্মিনাল। গেল সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিনে রাসিক মেয়রের দপ্তরে নেওয়া সিদ্ধান্তানুযায়ী দুই মাসের মধ্যে টার্মিনালটি ব্যবহার উপয়োগী করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত থাকলেও আরডিএ কর্তৃপক্ষ সেই দায়িত্ব থেকে এখনো রয়েছে বহুদূরে।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বরের সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান মোঃ আনওয়ার হোসেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোঃ মশিউর রহমান, আরডিএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ, আরএমপির ডিসি (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, নির্বাহী প্রকৌশলী যান্ত্রিক আহমেদ আল মঈন পরাগ, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সভাপতি শাহনেওয়াজ আলী, সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটু, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, রাজশাহী জেলা ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris