শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন

Paris
Update : রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২

আ’লীগ : বিএনপি খুনিদের দল। তারা দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ যাত্রা অব্যাহত রাখতে এ অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে (পুরনো বাণিজ্যমেলার প্রাঙ্গণ) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন বক্তরা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি। তারা সংবিধানকে পদদলিত করেছে। সাম্প্রদায়িক সংঘাত করেছে। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করতে চায়। এসব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করবো। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ। সম্মেলনে সালমান এফ রহমান বলেন, বিএনপি বলছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। আমরা বলে দিতে চাই, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তারা নির্বাচনে এলে আসবে, না এলে নেই। তিনি বলেন, ১/১১ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে জেলে রেখে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা সফল হতে দেয়নি নেতাকর্মীরা। আগামীতেও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রীর পেছনে থেকে জেলার ৫টি আসনে এমপি উপহার দেবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধু, শেখ কামাল, শেখ রাসেলকে হত্যার দায়ে তার ফাঁসি হতো। অথচ আজকে তার প্রতিষ্ঠিত দল- বিএনপি দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চায়। আমরা বেঁচে থাকতে সেটি হতে দেবো না। সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিএনপি খুনিদের দল। তারা ১৫ আগস্টের খুনি, ২১ আগস্টের খুনি। এ অপশক্তি রুখে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কাউকে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না। জনগণ বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাবো আমরা। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি। তারা সংবিধানকে পদদলিত করেছে। সাম্প্রদায়িক সংঘাত করেছে। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করতে চায়। কোনো যড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। সব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা প্রতিহত করবো। তিনি বলেন, আজকে ঢাকা জেলার সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এ জোয়ারে ভেসে যাবে বিএনপির সব দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ক্ষমতা দখল করে নেবে বলে শুনেছি। তারা নাকি মন্ত্রিপরিষদও গঠন করেছে। বিএনপি এটি কীভাবে করতে পারে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে থাকে, জনগণের সমর্থন নিয়ে চলে। এ সমাবেশে লাখো জনতার উপস্থিতি বলে দিচ্ছে আমরা আবারও সরকার গঠন করবো। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকার জয় নিশ্চিত করতে হবে, ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যারা বাংলাদেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল, আজকে তারা নানা কথা বলে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে তাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ দেশবিরোধী শক্তিকে মোকাবিলা করবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন থেকেই খেলা শুরু হবে। ঢাকা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। বিএনপিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দুপুর ২টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে (পুরনো বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ) আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এরপর সম্মেলন মঞ্চে আসনগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সদস্য জিয়াউল কবির কাউসার, সানজিদা খানম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা। সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লাল-সবুজ টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে ঢাকঢোল-তবলা বাজিয়ে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এদিকে, গত শুক্রবারই নৌকার আদলে সাজানো হয় মঞ্চ। সম্মেলনস্থলে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক টয়লেটসহ নানা সুবিধা রাখা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে বেনজির আহমেদ সভাপতি এবং মাহবুবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাদের নেতৃত্বে ৭১ সদস্যের ঢাকা জেলা কমিটি গঠিত হয়। এবারের সম্মেলনে ফের বেনজির আহমেদ সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
বিএনপি : এই সরকার সব খেয়ে ফেলেছে, কিছু বাকি রাখেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আমাদের যত অর্জন ছিল, যত স্বপ্ন ছিল, সব ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, যেদিকে তাকাই শুধু চুরি আর চুরি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ করতেও চুরি হয়। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা এমনকী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিতেও টাকা দিতে হয়। এই সরকার সব খেয়ে ফেলেছে কিছু বাকি রাখেনি। এই সরকার সর্বভুক সরকারে পরিণত হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলায় আটকে রেখেছে দাবি করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দলীয় ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদেরও হয়রানি করতে ছাড়েনি। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন কঠিন দুঃসময়। দেশে দুর্ভিক্ষ হলে মানুষ কোথায় যাবে? দেশে দুর্ভিক্ষ হলে সব দায় শেখ হাসিনার। ১৯৭৪ সালেও শেখ হাসিনার বাবার আমলে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াতে চেয়েছিল এই সরকার। এখন চালের কেজি ৬০ টাকা। ডাল, ডিম, চিনিসহ শাক-সবজির দামও আকাশচুম্বী। এ সময় সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, কিন্তু আমরা দেখছি আপনারা চিতল মাছ খান। বিদেশে যান। এসি রুমে থাকেন। শুধু মুখে বড় বড় কথা বলেন আপনারা। সমাবেশ গতকাল শনিবার দুপুরে শুরু হলেও গত শুক্রবার রাত থেকেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করে হাজার হাজার নেতাকর্মী। রাতভর সেখানেই ছিলেন তারা। ভোর থেকে বাড়তে থাকে জনস্রোত। যে যেভাবে পেরেছেন সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রয়োজনে জাতীয় সরকার হবে। যারা আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে হবে। দেশের অর্থনীতি মেরামত করার জন্য সরকার কাজ করবেন। এ সরকার সব শেষ করে দিয়েছে, তা ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, হাসিনা বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিলে চাকরি হয়। ঘুষখোর, ভোট চোর। তাকে আর দেখতে চায়না মানুষ। ১৫ বছর ধরে অত্যাচার চালিয়েছে, সর্বনাশ করেছে। অর্থনীতি খেয়েছে। এখন বাংলাদেশ খাওয়ার পায়তারা করছে। তিনি বলেন, গৃহবন্দী আছেন নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি অসুস্থ, তবুও তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। পরিবার, চিকিৎসক বলেছেন তাকে বাইরে পাঠানো দরকার। সে সুযোগও দেওয়া হয় নাই। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দেওয়া হয়েছে। ৬০০ বেশি মানুষকে গুম করেছে। হত্যা করেছে অনেককে। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতদিন কি বললেন, দেশ মধ্য আয়ের হয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া হয়ে গেছে। অথচ মানুষ খাবার পায় না। সব কিছুর দাম অতিরিক্ত। কি খেয়ে থাকবে মানুষ। ফখরুল বলেন, মার্কিন রিপোর্ট বলেছে, এ সরকার মিথ্যা বলে। মানবাধিকার নিয়ে যে রিপোর্ট দেয় তা মিথ্যা। নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে এ সরকার। বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, মানুষ এখন তাদের রুখে দেবে। বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, রিভলবার সব ভেঙ্গে চুরমার করে দেবে। একনায়ক হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ জেগে উঠবে। রংপুরের মহাসমাবেশে নতুন সরকারের রূপরেখা দিয়ে তিনি বলেন,‘আমাদের একটাই দাবি সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তার আগেই আমাদের এমপিরা পদত্যাগ করবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তাদের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের পছন্দ এবং মনের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচন করবেন। নতুন পার্লামেন্ট গঠন করা হবে। ফখরুল বলেন, সবার অংশগ্রহণ ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করা হবে- সেই সরকার হবে জাতীয় সরকার। সেই সরকার বাংলাদেশে যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, দেশে অর্থনৈতিক যে দুরবস্থা দেখা দিয়েছে, রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে সেসব আবার মেরামতের জন্য জাতীয় সরকার কাজ করবে। তিনি জনগণকে সরকার পতনের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দলের যে কয়েকজন এমপি রয়েছে তাদের দল যখনই নির্দেশ দেবে সংসদ থেকে পদত্যাগ করবে। এজন্য তারা সবসময় প্রস্তুত। ২০১৪ আর ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন বাংলাদেশে আর করতে দেবো না, সেটা হবেও না। সোজা কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না- বাংলাদেশে এটা আমাদের সাফ কথা। গণসমাবেশে বক্তব্য দেন- রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামা সামুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম (বাবুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনোকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল প্রমুখ।-এফএনএস

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris