শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

করোনার মধ্যে ৪৭ হাজার শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে

Paris
Update : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। বাল্যবিয়ে হয়েছে ৪৭ হাজার ৪১৪ শিক্ষার্থীর। এ সময় শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে ৭৭ হাজার ৭০৬ জন। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের জন্য দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০ হাজার ২৯৪টি। সেই হিসাবে তথ্য পাঠায়নি ৮ হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ হাজার ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে বালক ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬ জন এবং বালিকা ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯১ জন। ২০২১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে বালক ৩০ লাখ ২১ হাজার ২৩৩ জন এবং বালিকা ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০৫ জন।-এফএনএস

প্রাপ্ত তথ্যে কোভিড-১৯ অতিমারির মধ্যে ২০২০ সালের তুলানায় মোট শিক্ষার্থী বেড়েছে ৯৩ হাজার ২ জন। এতে বলা হয়, ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বালক ২৮ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ জন এবং বালিকা ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৯২ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, বাল্যবিয়ের কারণে ৪৭ হাজার ৪১৪ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত, যা ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শিশুশ্রমে যুক্ত হওয়ার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৭৭ হাজার ৭০৬ জন, যা শতকরা ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অন্যান্য কারণে অংশ নেয়নি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী, যা ৭৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৯টি অঞ্চলের মধ্যে পরীক্ষা অনুপস্থিতির হার সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও বরিশালে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। বাল্যবিয়ের কারণে শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে মোট ১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সিলেটে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। শিশুশ্রমের কারণে শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির হার সর্বোচ্চ রাজশাহী অঞ্চলে মোট ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন চট্টগ্রামে ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার রোগী শনাক্ত হলে ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সশরীর ক্লাস শুরু করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পাঠানো প্রতিবেদনে করোনায় বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির এই চিত্রের বিপরীতে কোনও সুপারিশ তুলে ধরা হয়নি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris