মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো দেশবাসী বিএমডিএ’র ইবিএ প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রাসিক কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সাথে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ও ইউনিসেফ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ সিন্ডিকেট করে কৃষিপণ্যের মূল্য বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : বিভাগীয় কমিশনার বাগমারায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন শাকিবের তৃতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘গাদ্দার’ প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব দিলেন মিঠুন গণধ্বনি প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত অর্ণা জামানের উদ্যোগে নগরীর তিন শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার, স্বামী মামুন আটক

Paris
Update : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ের ছয় মাস পর শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী মামুনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। মামুন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে এবং নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা খায়রুনের সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

 

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। তবে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। খায়রুন নাহারের স্বামী মামুন বলেন, ‘রাত ২টার দিকে খায়রুন খুব অসুস্থ বোধ করলে আমি ওষুধ নিতে হাসপাতালে যাই। ফিরে এস দেখি দরজা খোলা। তখনই আমার ভেতরে ভয় কাজ করে। শোবার রুমে ঢুকে দেখি খায়রুন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। আমি তাকে নামানোর জন্য বটির খোঁজে রান্না ঘরে যাই। কিন্তু বটি না পেয়ে লাইটার জ¦ালিয়ে ওড়নায় আগুন ধরিয়ে দেই। ওড়না অর্ধেক পুড়ে গেলে টান দিয়ে ছিঁড়ে তার দেহ নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেই। এরপর দৌড়ে গিয়ে আমি নিচের তালায় নাইট গার্ড নিজাম উদ্দিনকে খবর দেই। ফিরে এসে দেখি সে মারা গেছে। অনেক রাত হওয়ায় আমি পাশের ফ্ল্যাটের কাউকে ডাকিনি।

 

নাইট গার্ড নিজাম উদ্দিন বলেন, রাত ২টার দিকে মামুন নিচে নেমে এসে জানান তিনি হাসপাতালে যাবেন। তখন আমি গেট খুলে দেই। এরপর ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরই জানান তার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ওপরে গিয়ে আমি খাটের ওপর শোয়ানো লাশ দেখতে পাই। পরে পুলিশকে জানানো হয়। এরপর পুলিশ আসে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফ্যানের সঙ্গে আগুন দিয়ে পোড়ানো ওড়নার অংশ বিশেষ দেখা গেছে। সবকিছু দেখে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই মনে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অসম বিয়ের কারণে কলিগ আত্মীয়স্বজন এবং পরিচিতজনদের অসহযোগিতা তার ভেতরে আত্মহত্যার প্ররোচনার কাজ করতে পারে।

 

এদিকে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশের কাছে মামুন জানান, তার স্ত্রী খায়রুনের ছোট ছেলে বাবার (খায়রুনের আগে স্বামী) কাছে থাকলেও বড় ছেলে থাকে নানার বাড়ি। বিয়ের আগে ব্যাংক, এনজিওতে খায়রুনের ১৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ ছিল। সম্প্রতি বড় ছেলে খায়রুনের কাছে ছয় লাখ টাকার বেশি দামি মোটরসাইকেল দাবি করে। কিনে না দিলে ছেলে আত্মহত্যা করবে বলে ভয় দেখায়। এক প্রশ্নের জবাবে মামুন দাবি করেন, গত রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়িতে আসেন। এরপর নামাজের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হন। যাওয়ার সময় খাইরুন ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল ৭টায় তাকে খুবজিপুর কলেজে রেখে আসবেন ভেবে নামাজ পড়ার আগেই খায়রুনকে ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পান। এরপর সে নামাজ না পড়েই বাড়ি এসে দেখেন খায়রুন ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন। তখন পকেটে থাকা লাইটারের আগুনে ওড়না পুড়িয়ে তাকে নামান। নামাজের জামাতের কখন জিজ্ঞেস করায় মামুন একবার বলেন জামাত ৪টার পর, আবার বলেন সাড়ে ৫টায়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মামুন জানান, তিনি একেক সময় একেক মসজিদে নামাজ পড়েন।-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris