শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব পবায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ইসলামী নার্সিং কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত : আব্দুল ওয়াদুদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন হজ পালনের ধাপসমূহ

‘তামাকবিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশের এমপিরাই সবচেয়ে এগিয়ে’

Paris
Update : রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২

সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনে কাজ করছে। এ ধরনের কাজে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরাই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং ‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আছে। সে আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে মাত্র ৩০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এটি সংশোধন করা জরুরি। -এফএনএস

 

এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সই করা একটি চিঠি দিয়েছি। এটা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। হাবিবে মিল্লাত বলেন, একটা সময় সংসদ সদস্যরা তামাকের পক্ষে চিঠি দিতেন। সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তামাকের কর বাড়ানোর সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ৮৬ জন সংসদ সদস্যের সই করা চিঠি দিয়েছি। আমরা ৪০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে কক্সবাজারে তামাকবিরোধী কনফারেন্স করেছি। আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুতই কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। এর আগে, মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় তামাক আইন সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশের মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

যার অন্যতম কারণ তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। বিদ্যমান আইনের কিছু ফাঁকফোকরও এর জন্য দায়ী। সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে- জনসম্মুখে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেট খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ, ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো নিষিদ্ধ করার মতো বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, রত্নগর্ভা ফরিদা জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফরিদা জামান। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি, স্কুল-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris