শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৬

Paris
Update : বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন। মহিলা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ আছেন ১২ হাজার ৬২৯ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০০১ সালে ছিল দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন। শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ। যা ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ছিল ১.৫৮ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ছিল ২.০১ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ছিল ২.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে।-এফএনএস

পুরুষের চেয়ে ১৬ লাখ নারী বেশি : বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যায় পুরুষের থেকে নারীর সংখ্যা বেশি। নারীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৯ জন বেশি। অর্থাৎ ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ ৯৮ জন। গত এক দশকে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন বেড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করে প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, জনশুমারিতে দেখা গেছে নারীর তুলনায় পুরুষ কমছে। মোট ১৬ লাখ নারী বেশি পুরুষের থেকে। বিবিএসের শুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। আর শহরের বাসিন্দা পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন। দেশে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের শুমারিতে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৬। দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১১৯। যা ২০১১ সালে ছিল ৯৭৬। দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬। পুরুষ জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী জনগোষ্ঠীর এ হার ৭২ দশমিক ৮২।

দশকের হিসাবে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে এবার: স্বাধীনতার পরে ছয়টি জনশুমারিতে দশকে হিসাবে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে এবার। গত এক দশকে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন। এর আগে গত দশকে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত জনশুমারিতে ছিল ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩৪ জন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে দুই কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন বেড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ১২ হাজার ৬২৯ জন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪ জন। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৯১ লাখ ৯৫ হাজার ২৭ জন। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার ২৭১ জন। ২০০১ থেকে ২০১১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩৪ জন। জনসংখ্যার গড় ঘনত্ব বা প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করেন এক হাজার ১১৯ জন। তবে সব থেকে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯ হাজার ৩৫৩ জন বসবাস করেন। তবে সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সব থেকে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক)। রসিকে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে তিন হাজার ৪৪৪ জনের বসবাস।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি ঢাকায়, কম বরিশাল বিভাগে : ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে আর কম বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে দশমিক ৭৯ শতাংশ। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার অনুযায়ী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এ বিভাগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। রংপুর বিভাগে দশমিক ৯৮ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দশমিক ৯৬ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে দশমিক ৭৯ শতাংশ।

জনঘনত্বের শীর্ষে ঢাকা দক্ষিণ : দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মানুষের বসবাসের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৯ হাজার ৩৫৩ জনের বসবাস। যেখানে গোটা দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করেন এক হাজার ১১৯ জন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। দেশে জনসংখ্যার গড় ঘনত্ব বা প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস এক হাজার ১১৯ জনের। তবে সবচেয়ে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে, সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করেন ৩৯ হাজার ৩৫৩ জন। সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ঘনত্ব রংপুর সিটি করপোরেশন, সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে তিন হাজার ৪৪৪ জন বসবাস করেন। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩০ হাজার ৪৭৪ জনের বসবাস। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে চট্টগ্রামে ২০ হাজার ৭৬৭, খুলনায় ১৫ হাজার ৭৪৪, নারায়ণগঞ্জে ১৩ হাজার ৩৬১, সিলেটে ২০ হাজার ৯২, কুমিল্লায় ৮ হাজার ২৮৫, গাজীপুরে ৮ হাজার ১১৭, ময়মনসিংহে ৬ হাজার ৩১৫, রাজশাহীতে ৫ হাজার ৬৮৮ এবং রংপুরে ৩ হাজার ৪৪৪ জন বসবাস করেন। সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনসংখ্যা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে। সেখানে বাস করেন ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। আর সবচেয়ে কম বসবাস বরিশাল সিটি করপোরেশনে, সেখানে বাস করেন চার লাখ ১৯ হাজার ৩৫১ জন।

ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি ১২ লাখ: দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ঢাকা শহরে বসবাস করেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৭০৮ জন। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১৬ ভাগের একভাগ। বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৫ জন পুরুষ ও ৫১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯২ জন নারী বসবাস করেন। আর তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যাও ঢাকা শহরে বেশি ১ হাজার ৬১৫ জন। এতে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী ও ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে বর্তমানে বিবাহিত ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবাহিত নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রাজশাহী। অপরদিকে বিবাহ বিচ্ছেদ শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক বিবেচনায় শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ নিয়ে বিচ্ছেদে এগিয়ে আছে খুলনা।
গ্রামে বাস করেন ১১ কোটি, শহরে ৫ কোটি মানুষ : বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রামে বাস করেন ১১ কোটি ৬৩ হাজার ৫৯৭ জন ও শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৯ হাজার ৭২ জন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে পল্লি এলাকার মোট জনসংখ্যার ৫ কোটি ৫১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪২ জন পুরুষ, নারী ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ হাজার ৪৬২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ৬ হাজার ২৮২ জন। শহর এলাকায় মোট জনগোষ্ঠীর ২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮২ জন পুরুষ, ২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৪ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ৬ হাজার ৩৪৬ জন। পল্লি এলাকায় সর্বাধিক জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে দুই কোটি ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১৬ জন এবং সর্বনিম্ন বরিশালে ৬৮ লাখ ৯ হাজার ৮৪৪ জন। শহর এলাকা সর্বাধিক জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে ২ কোটি ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৯ জন এবং সর্বনিম্ন জনসংখ্যা সিলেট বিভাগে ২০ লাখ ৬৫ হাজার ১২৩ জন।

নির্ভরশীলতার হার বেশি ময়মনসিংহে কম ঢাকায় : গত এক দশকে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন বেড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যা পল্লী এলাকায় ৫৬ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৪৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। নির্ভরশীলতার অনুপাত ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বোচ্চ ৬০ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে সর্বনিম্ন ৪৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। বিবিএসের খসড়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নির্ভরশীলতার হার বরিশালে ৫৭ দশমিক ৭২, চট্টগ্রামে ৫৯ দশমিক ৯৭, খুলনায় ৪৮, রাজশাহীতে ৪৮ দশমিক ৮৯, রংপুরে ৫৩ দশমিক ০৯ এবং সিলেটে ৬০ দশমিক ১০ শতাংশ।

দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ৩৭ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন : দেশের জনগোষ্ঠীর ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ০১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এ বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ পুরুষ এবং ২৮ দশমিক ০৯ শতাংশ নারী। অন্যদিকে পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশ এবং নারী ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনগোষ্ঠীর এ ফলাফল মিলেছে। জনসংখ্যার পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন আছে ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশের। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ফোন আছে ৬৬ দশমিক ৫৩ শতাংশের, আর নারীদের মধ্যে মোবাইল ফোন আছে ৪৫ দশমিক ৫৩ শতাংশের। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের আট বিভাগের মধ্যে পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব, ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব এ দুই ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ঢাকায় আর সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে। ঢাকায় পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ০৭ শতাংশের মোবাইল ফোন রয়েছে। আর এ বিভাগে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশেরই মোবাইল ফোন আছে। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৫৫ শতাংশের হাতে মোবাইল ফোন, আর ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশের মোবাইল ফোন রয়েছে।

অবিবাহিত মানুষ ২৮.৬৫ শতাংশ : দেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত। জনশুমারি ২০২২-এর প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ১০ বছর ও তার বেশি বয়সী জনসংখ্যার বৈবাহিক অবস্থার শতকরা হারে এ হিসাব। জনশুমারি ২০২২-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে গড়ে অবিবাহিত ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বর্তমানে বিবাহিত ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। বিধবা কিংবা বিপত্মীক ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। তালাকপ্রাপ্ত শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ। আলাদা থাকেন শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বেড়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠী, কমেছে অন্যান্য : দেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বি জনসংখ্যা এক দশকে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ। একই সময়ে কমেছে অন্য ধর্মাবলম্বি জনসংখ্যা। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী। তৃতীয় লিঙ্গ ১২ হাজার ৬২৯ জন। ২০২২ এর জনশুমারি অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুসলমান, ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ হিন্দু, ০ দশমিক ৬২ শতাংশ বৌদ্ধ, ০ দশমিক ৩০ শতাংশ খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ০ দশমিক ১২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৯০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ০ দশমিক ৬২ শতাংশ, ০ দশমিক ৩১ শতাংশ ও ০ দশমিক ১৪ শতাংশ। বিভাগওয়ারি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মুসলমান ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সবচেয়ে কম সিলেটে ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বাসগৃহের সংখ্যা সাড়ে ৩ কোটির বেশি : দেশে সাড়ে তিন কোটির বেশি বাসগৃহ রয়েছে। এর মধ্যে পল্লি এলাকায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার ৬৬৭ ও শহর এলাকায় ৮১ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৪টি। সর্বাধিক বাসগৃহের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে, ৮১ লাখ ১৯ হাজার ২০৫টি। সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ১৭টি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিভাগওয়ারি দেশে পল্লি ও শহরভিত্তিক মোট বাসগৃহের সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে। সে হিসাবে দেশে মোট বাসগৃহের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার ৯৫১টি। এর মধ্যে পল্লি এলাকায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার ৬৬৭টি এবং শহর এলাকায় ৮১ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৪টি। এসবের মধ্যে সর্বাধিক বাসগৃহ ঢাকায়। এর সংখ্যা ৮১ লাখ ১৯ হাজার ২০৫টি। আর সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ১৭টি। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৮টি। এর মধ্যে পল্লি এলাকায় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫১টি আর শহরে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭টি। চট্টগ্রামে ৬৪ লাখ ৫০ হাজার ১৩৩টির মধ্যে পল্লিতে ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫৫টি, শহরে ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৮টি। ঢাকা বিভাগে ৮১ লাখ ১৯ হাজার ২০৫টির মধ্যে পল্লিতে ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৮টি আর শহরে ২৩ লাখ ১৯ হাজার ২০৭টি। খুলনায় ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৫৬৩টির মধ্যে পল্লিতে ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৫৯টি আর শহরে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৪টি। এদিকে ময়মনসিংহে ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮টির মধ্যে পল্লিতে ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৬টি আর শহরে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯২টি। রাজশাহীতে ৫১ লাখ ২৮ হাজার ৮৬১টির মধ্যে পল্লিতে ৪১ লাখ ৭ হাজার ৯৬৪টি, শহরে ১০ লাখ ২০ হাজার ৮৯৭টি। রংপুরে ৫০ লাখ ৭ হাজার ১৫৬টির মধ্যে পল্লিতে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৭টি, শহরে ৯ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৯টি এবং সিলেট বিভাগে ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ১৭টির মধ্যে পল্লিতে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭৬৭টি আর শহরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০টি বাসগৃহ রয়েছে। খানার (যারা একই পাতিলে খাবার খায়) সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৮১ সালে মোট খানার সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫টি। যা ২ দশমিক ৭২ গুণ বেড়ে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১টি।

বস্তিতে বসবাস করে ১৮ লাখ মানুষ : বাংলাদেশের জনসংখ্যা গত এক দশকে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন বেড়ে এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। পাশাপাশি দেশে বস্তিবাসীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৪৮৬ জন। বস্তিবাসীর খানার (একই পাতিলে রান্না করা খাবার খান যারা) সংখ্যা ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৮৬ জন। বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনগোষ্ঠীর এ ফলাফল মিলেছে।

সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ : দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর দেশে বর্তমান মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ চিত্র উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের মোট ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জনসংখ্যার ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী, আর ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ।প্রতিবেদনে সাক্ষরতার হারের হিসাবে বলা হয়, দেশের নারী-পুরুষ মিলে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যার মধ্যে অঞ্চলভেদে গ্রামাঞ্চলে ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৮১ দশমিক ২৮ শতাংশ।অন্যদিকে নারী-পুরুষ লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী শিক্ষার হার ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।২০১১ সালে নারী-পুরুষ মিলে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বেশি চট্টগ্রামে : দেশের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ মানুষ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এর মধ্যে অঞ্চলভেদে সবচেয়ে বেশি সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার হয় চট্টগ্রামে।বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ মানুষ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এর মধ্যে অঞ্চলভেদে চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ মানুষ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এ বিভাগের বিদ্যুতের সুবিধা এখনো পাননি এমন সংখ্যাও বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগের ১ দশমিক ২৩ শতাংশ মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সেবার সুবিধা পাননি। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।

প্রতিবন্ধীদের অর্ধেকের বেশি পুরুষ : দেশে মোট প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৬০৪ জন। যা মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ১০৫ জন পুরুষ আর ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৯ জন নারী। মোট প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ পুরুষ আর ১ দশমিক ২৩ শতাংশ নারী। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী আর ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ। প্রতিবেদনে জানানো হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, সিলেটে প্রতিবন্ধীর হার যথাক্রমে- ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ১ দশমিক ০৮, ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধিতা রয়েছে খুলনা বিভাগে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ আর সর্বনিম্ন ঢাকা বিভাগে ১ দশমিক ০৮ শতাংশ। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে অটিজম ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ৩২ শতাংশ, মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধিতা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বাক প্রতিবন্ধিতা ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ, শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ, সেরিব্রাল পলিসি ১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ডাউন সিন্ড্রোম ১ দশমিক ০৮ শতাংশ, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা ১২ দশমিক ৫৭৯ শতাংশ ও অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।

প্রাথমিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বক্তব্যে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে এবারের শুমারি সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা বর্তমানে যে সময়ে বাস করছি, সেখানে মুহূর্তেই তথ্য ও উপাত্ত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ফলে, জনশুমারির ফলাফল আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে চুড়ান্ত করা হবে।এর আগে তিনি জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর ফলাফল প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন। সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন এই প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে এম আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris