এফএনএস : আগামী ২৫ জুন উদ্বোধনের পরদিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে পদ্মা সেতু। এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবহনগুলো। এরইমধ্যে সেতু হয়ে চলাচলকারী যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার সেই টোলসহ ১৩ রুটের বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বাসে একজন যাত্রীর ভাড়া হবে ৪১২ টাকা ৩২ পয়সা। ঢাকা-রাজৈর-গোপালগঞ্জ রুটের বাসে চলাচলকারী ভাড়া দাঁড়াবে ৫০৪ টাকা ২১ পয়সা।
একইভাবে ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা রুটের বাসে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৬৪৯ টাকা ৩৬ পয়সা, ঢাকা-জাজিরা-শরীয়তপুর রুটের বাসে ভাড়া ২১৮ টাকা ৫৩ পয়সা, ঢাকা-বরিশাল-পিরোজপুর রুটের বাসে ভাড়া ৫৩৪ টাকা ২০ পয়সা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর-বাগেরহাট রুটের ভাড়া ৬২৮ টাকা ২৫ পয়সা, ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী রুটের ভাড়া ৫০১ টাকা ৫২ পয়সা, ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর রুটের ভাড়া ৩২৭ টাকা ৫০ পয়সা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা-সাতক্ষীরা রুটের ভাড়া ৬৩৩ টাকা ৫ পয়সা, ঢাকা-ভাঙ্গা-ফরিদপুর রুটের ভাড়া ২৮৮ টাকা ৩৯ পয়সা, ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-ভোলা-চর ফ্যাশন রুটের ভাড়া ৬৫৩ টাকা ৮৬ পয়সা, ঢাকা-বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৯ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটে যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া দিতে হবে ৬৯৪ টাকা ২৯ পয়সা। বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বাসগুলোর ঢাকার স্টেশন ধরা হয়েছে সায়েদাবাদ। অর্থাৎ এখান থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোর ক্ষেত্রে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সরকার নতুন করে টোল আরোপ করলে বাস ভাড়া আবার বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।