শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

ঢাকা মেডিকেলে সার্জারি ওয়ার্ডে রোগীকে সেলাই দিলেন ঝাড়ুদার!

Paris
Update : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২

এফএনএস : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্লোরে শুয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী জাবেদ জাহাঙ্গীর। সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ৯৮ নম্বর ওর্য়াডের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়নি তাকে। বরং ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্লোরেই চিকিৎসা হলো তার। আর সেটাও করেন একজন বেসরকারি পরিচ্ছনতাকর্মী। গত বুধবার সন্ধ্যায় এই বিস্ময়কর দৃশ্যের দেখা মেলে ঢামেক হাসপাতালে। এদিন মুমূর্ষু জাবেদের মাথার ক্ষতস্থানে সেলাই দেন পরিচ্ছনতাকর্মী নূরে আলম। আহত জাবেদ হবিগঞ্জের লাখাই সদর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম নুরুল হক। আহতের ভাই তোফায়েল আহমেদ বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হন জাবেদ। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিকেলের দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। এরপর ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নিউরো সার্জারি বিভাগের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন। পরে নিয়ম অনুযায়ী তাকে একই বিভাগের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তোফায়েল আরও জানান, ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বরতরা তার ভাইয়ের মাথার ব্যান্ডেজ পর্যন্ত দেখেননি। মুমূর্ষ অবস্থায় ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানে কোনো সিট না পেয়ে ফ্লোরে রাখা হয়। পরে লোকজনের অনুরোধে অল্প বয়সী একটা ছেলে এসে জাবেদের মাথার ব্যান্ডেজ খুলে দেখতে পান- ক্ষতস্থানে কোনো সেলাই দেওয়া হয়নি। তখন সেই অল্প বয়সী ছেলেটি জাবেদের মাথায় সেলাই করেন এবং ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেন। নূরে আলম নামের সেই ব্যক্তি জানান, তিনি নিউরো সার্জারি বিভাগের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের বেসরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী। রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে পাঠানো হয়েছে। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। এই বলে দ্রুত ওয়ার্ড থেকে সরে পড়েন তিনি। হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, নিউরো সার্জারি বিভাগের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড হচ্ছে জরুরি রোগীদের জন্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিউরো সার্জারির যে কোনো রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হয়ে ওই ওয়ার্ডে যাবে। এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন খোদ ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ওই রোগী স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, সেটা ঠিক আছে। তবে আমাদের এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগীর ক্ষতস্থানের অবস্থা দেখতে হবে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে। এরপর সিটি স্ক্যান। তিনি এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। নিউরো সার্জারি বিভাগের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নার্সদের ইনচার্জ সঞ্জয় বলেন, নূরে আলম নামে এক ব্যক্তি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করে। তবে এই কাজটি খুবই অন্যায় হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, যেভাবেই হোক ওই ঝাড়ুদারকে খুঁজে বের করা হবে। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। যারা রোগীর সেবায় অবহেলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ব্যবসায়ী জাবেদকে মহাখালীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার ভাই তোফায়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি পাওয়া যাচ্ছিল না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris