রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

মোবাইল-ল্যাপটপ যেভাবে হলো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য

Paris
Update : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২

এফএনএস : দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি প্রযুক্তি পণ্যকে কী নামে ডাকা হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘মেক ইন বাংলাদেশ’, নাকি ‘অ্যাসেমব্লিং ইন বাংলাদেশ’ লেখা হবেÑ এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং দেশের মোবাইল ফোন উৎপাদকরা বলেছেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-ই হবে। অন্য কোনও কিছু বলার সুযোগ নেই। তবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য নামে ডাকার জন্য সরকারের মৌলিক শর্ত ছিলÑ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদিতে স্থানীয়ভাবে ৩০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। দেশের ১৪টি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশিরভাগই ৩০ শতাংশের কোটা পূরণ করতে পেরেছে।

যারা এখনও পারেনি, তারা একটা প্রক্রিয়ার ভেতর রয়েছে। শিগগিরই বাকি অংশটাও পূরণ হয়ে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে জানেতে চাইলে ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অবশ্যই মেড ইন বাংলাদেশ পণ্য বলতে হবে। মেক ইন বাংলাদেশ বা অ্যাসেমব্লিং ইন বাংলাদেশ বলার কোনও সুযোগ নেই। দেশে মোবাইল কারখানা তৈরির জন্য আমরা অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। কারখানা-সংশ্লিষ্ট এলাকাকে হাইটেক পার্ক ঘোষণা করছি। সেখানে তারা কর অবকাশ সুবিধাসহ আরও অনেক সুবিধা পাচ্ছে। ৯৪টি পণ্যের শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।

যারা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ রফতানি করছে, তারা ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাচ্ছে।’ এ বিষয়ে দেশে স্থাপিত প্রথম মোবাইল ফোন তৈরির কারখানার (স্যামসাং মোবাইল) উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ পণ্যের মৌলিক শর্ত হলোÑ স্থানীয়ভাবে ৩০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। স্যামসাংয়ের মোবাইল কারখানা স্থাপনের শুরুর দিকে আমরা প্রায় সব যন্ত্রাংশ আমদানি করতাম। সে সময় আমরা বলতাম মেই ইন চায়না অ্যাসেমব্লিং ইন বাংলাদেশ। পরে আমরা পিসিবি নিজেরা তৈরি করতে শুরু করি। ব্যাটারি, চার্জার, মোবাইলের পর্দা এখানে তৈরি করতে শুরু করি। এখন আমাদের ভ্যালু অ্যাডিশন ৩০ শতাংশের বেশি। ফলে আমরা মেড ইন বাংলাদেশ মোবাইল বলতেই পারি।’ সিম্ফনি মোবাইল ফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মোবাইল ফোন আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহিদ বলেন,‘আমাদের দেশে মোবাইল ফোন তৈরির ১৪টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানা মানুফ্যাকচারিং (সিকেডি) এবং অ্যাসেমব্লিং (এসকেডি) কাট্যাগরিতে কারখানার অনুমতি পেয়েছে। আমাদের জানা মতে, ১০টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল তৈরি করছে। তারা দেশে পিসিবি, চার্জার, ব্যাটারি, হেডফোন তৈরি করছে। ফলে তারা বলতেই পারে মেড ইন বাংলাদেশ।

৪টির মতো প্রতিষ্ঠান (মোবাইল কারখানা) এখনও সব শর্ত পূরণ করতে পারেনি।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব মোবাইল ফোন কারখানা প্রায় ২২ থেকে ২৬ শতাংশ স্থানীয়ভাবে ভ্যালু অ্যাড করছে। কিছুকিছু প্রতিষ্ঠানের এই শতাংশ ১৮। তবে ১৮-এর নিচে কারও নেই বলে সবার অভিমত। স্থানীয় শ্রমিক-কর্মী, বিদ্যুৎ, নিজেদের ভবন ইত্যাদিও এই ভ্যালু চেইনের অংশ। ফলে মেড ইন বাংলাদেশ বলাই যায়। যারা এখনও পুরোপুরি শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তারা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনবিআরের একটা নিয়ম দেওয়া আছে, মেইড ইন বাংলাদেশ পণ্য বলতে হলে স্থানীয়ভাবে ওই পণ্যে ৩০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাড করতে হবে।

ওয়ালটনের পণ্যে এই হার ৩০ শতাংশের বেশি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের শর্ত পূরণ করেই মেড ইন বাংলাদেশ পণ্য বলছি।’ জানা গেছে, ওয়ালটন পিসিবি, মাদারবোর্ড, মাউস, কি-বোর্ড, পেন ড্রাইভসহ আরও অনেক কিছু তৈরি করে। উল্লেখ্য, ওয়ালটন, স্যামসাং, নকিয়া, ভিভো, সিম্ফনি, আইটেল, টেকনো, ইনফিনিক্স, লাভা, লিনেক্স, অপো, রিয়েলমি, মাইসেল, ডিটিসি, ফাইভস্টার, উইনস্টার, শাওমি, প্রোটন ইত্যাদি মোবাইল দেশে তৈরি হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris