রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

গোমস্তাপুরে গাছে গাছে দোল খাচ্ছে আম চাষীদের স¦প্ন

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি : আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে নানা জাতের আমে বাগানগুলো এখন পরিপূর্ণ। গাছগুলোতে আমের সাইজ বড় হতে শুরু করেছে। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম চাষীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,সারি সারি আমবাগানে প্রায় প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের আম। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য গুটি ,আশ্বিনা, গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ফজলি সহ নানা প্রজাতির আম। তবে এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আম হচ্ছে ফজলি ও আশ্বিনা জাতের। এ জাতের আম সুমিষ্ট ও আম চাষীরা দাম ভালো পাই। প্রায় প্রতিটি গাছে দোল খাচ্ছে আম চাষীদের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টার কোনো ঘাটতি নেই তাদের। ঘর থেকে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চাষী এরসাদ আলী জানান, এবার আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার আম আছে। বাগানে আমও ভালো আছে। লাভের আশা নিয়ে বাগানগুলো দিনের পর দিন পরিচর্যা করে চলেছি। গত কয়েকদিনের ঝড়ে আমার আমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তাতেও সামনে আমের বাজার যদি ঠিক থাকে,তাহলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। আশা করছি এবার আমি লাভবান হব। আম পাড়া শ্রমিক খোরশেদ আলম বলেন, প্রতিবছর আমি আমের পুরো সিজন আম পাড়ি। এ বছরও আম পাড়বো। দিনে ৫০০ টাকা করে পায়। পুরো সিজনে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করি। তাতে আমার সংসার ভালো চলে যায়। কিন্তু এবছর আম বেশী না থাকায় আয় কিছুটা কম হতে পারে।

গোমস্তাপুর উপজেলা আমচাষী ও ব্যবসায়ী’র সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, এ বছর আম উৎপাদন গতবারের তুলনায় খুবই কম। বাজারে এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। কিন্তু আমরা ভয়ে আছি যে পরিমাণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে তাতে প্রায় ১০% আম পড়ে গেছে। ৪০ কেজিতে ওজনে যাতে করে বাজারে আম বিক্রি হয়। সেজন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
রহনপুর আম আড়ৎদার সমবায় সমিতি লিমিটেড এর আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এবছর আমের উৎপাদন অনেক কম।ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবে বলে তিনি মনে করছেন। রহনপুর আমের বাজারে ২৮/২৯ মে এর মধ্যে বাজারে আম নামতে পারে।

ওজনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,পুরো রাজশাহী বিভাগে ৫০ কেজিতে মণ নির্ধারণ করা আছে। আর এখন পর্যন্ত সেটাই বলবৎ আছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, আবহাওয়া খারাপ হলেও এবছর আমের তেমন ক্ষতি হয়নি।এ উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। যার গাছের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৫০ টি। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার ৫ মেট্রিকটন। আমের জাতের মধ্যে আশ্বিনা আম ১২৩০ হেক্টর জমিতে সব থেকে বেশী চাষাবাদ হয়েছে। চলতি বছরে আমের মুকুল হয়েছে ৯৫%। তিনি আরো বলেন,এবছর বাজারে আম বিক্রির সময় নির্ধারণ করা হয়নি।আম পাকলে বাজারে বিক্রি করা যাবে।তাই ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে এবার আম বিক্রি করতে পারবেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris