শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএমডিএ’র ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ঘুরে দেখেলেন নেপালের মন্ত্রী

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্পের প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম এবং ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও সফলতা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেছেন নেপাল সরকারের প্রতিনিধি দল। আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সলং, আমতলী এবং সরমঙ্গলা খাল এলাকায় বিএমডিএ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দলটি। এর মধ্যে সরমঙ্গলা এলাকায় কৃষক ও নলকুপ অপারেটরের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন নেপালী প্রতিনিধি দল। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমডিএর চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব নীতির কারণে আমাদের কৃষক ভাইয়েরা কম খরচে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন বলে আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছে। যেখানে আগে একটা জমিতে এক ফসল ফলানো যেত, বিএমডিএর সেচ প্রকল্পসহ নানা উদ্যোগ গ্রহনের ফলে এখন তাতে ৩ থেকে ৪বার ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। ফলে মরু প্রবন বরেন্দ্র এলাকায় এখন সবুজের সমারহ। আজকের দিনটি স্বরণীয়। নেপালের জ্বালানি পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী পম্পা ভুসালসহ প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা বিএমডিএর সেচ প্রকল্পের প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম এবং ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দেখে বেশ খুশি হয়েছেন।

কৃষক ও অপারেটরদের মন্তব্যে বেশ খুশি হওয়ায় এ মতবিনিময় ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেপালের জ্বালানি পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী পম্পা ভুসাল বলেন, বাংলাদেশের মতই নেপালের সমতল কৃষি জমি। সেচ কার্যক্রম এবং ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে সেখানের কৃষিখাতে কিভাবে উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশে আসা। আমরা এখানে বিএমডিএর সেচ প্রকল্পের প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম এবং ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দেখে সন্তুষ্ট হয়েছি।

আমরা বিএমডিএর এসব প্রসেস নেপালের কৃষি খাতে ব্যবহার করে সফল্য অর্জনে চেষ্টা করবো। মতবিনিময়ে কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন যে, বিএমডিএর প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রমের ফলে জমিতে নিয়মিত পানি পাচ্ছে। ফলে বরো মৌসুমে ফসলের জমিতে পানির সমস্য সমাধান হয়েছে। এছাড়া এখান থেকে খাবার পানিও সংগ্রহ করা হয়। কৃষাণী মালা বলেন, বিএমডিএর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি জমিগুলোতে ইচ্ছেমতো কৃষকরা বিভিন্ন ফসল ফলাতে পারছেন। জমিতে ৩ থেকে ৪বার ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে।

এছাড়া বিএমডিএ কৃকদের মাঝে উন্নত বীজ সরবারহ করায় উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা। নেপাল প্রতিনিধি দলে ছিলেন, নেপালের জ্বালানি পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবেন্দ্র কারকি, জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র লাভ কর্ণ, জল সম্পদ ও সেচ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশীল চন্দ্র আচার্য, যান্ত্রিক সেচ উদ্ভাবন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক দীপেন্দ্র লৌদারি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি দিল বাহাদুর ছেত্রী এবং জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সেকশন অফিসার পবিত্র গাইরে।

এছাড়া এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তব, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার আলমগীর আকন্দরা, পরিবেশ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং কৃষি বিভাগের জল সম্পদ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ল’হোস্টিস, নেপাল রেসিডেন্ট মিশনের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার অরুণ রানা, এডিবি কনসালেন্ট আশীষ ভদ্র খল, এডিবির পরামর্শক আসাদুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন শেষে দপুরে বিএমডিএ‘র প্রধান কার্যালয়ের এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এসময় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্প পরিদর্শন, প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম এবং ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও সফলতার বিষয়ে নেপাল সরকারের প্রতিনিধি দল বিএমডিএ-এর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক জনাব মো: আব্দুর রশীদ, উপস্থিতি ছিলেন- বিএমডিএ অতি: প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুল হোদা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. আবুল কাশেম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নাজিরুল ইসলাম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ,

তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ.টি.এম মাহফুজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী শিবির আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জনাব মো শরিফুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জিন্নুরাইন খান,তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী , প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-ব্যবস্থাপক (কৃষি), মনিটরিং অফিসার ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris