শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

ট্রেনের ঈদের টিকেটের শুরুতেই ভোগান্তি

Paris
Update : রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল শনিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে স্টেশনের কাউন্টার এবং অনলাইন থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে অনলাইনে ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কাটা যাচ্ছিল না। এক ঘণ্টা পর ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হলেও অনেক যাত্রী টিকিট পাননি। যাত্রীদের অভিযোগ, সকালে ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটের সার্ভার বন্ধ ছিল।

ওয়েবসাইটে একটি বার্তা লিখে ধৈর্য ধরতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর সোয়া নয়টার দিকে ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হলে দেখা যায় টিকিট নেই। এদিকে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে রাজধানীর পাঁচটি স্টেশনে (কমলাপুর, ফুলবাড়িয়া পুরান রেল স্টেশন, তেজগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর) অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রেলওয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল থেকে ঈদ যাত্রার ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রি করার কথা।

তবে অনলাইন প্রক্রিয়া থেমে ছিল সকাল থেকে। টিকিট কেনার জন্য সকাল আটটার পর একসঙ্গে অনেক মানুষ ওয়েবসাইটে ঢুকলে সার্ভারে সমস্যা হয়। ওয়েবসাইটে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইংরেজিতে তিনটি বাক্য লেখা ছিল, যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘আপনি আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। মানসম্পন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করতে আমরা আপনাকে লাইনে রাখছি। ধৈর্য ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ রেলের নিয়মিত যাত্রীদের একটা ফেসবুক পেজ ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিবার’। এই পেজে রেলের টিকিট সংক্রান্ত বিষয়গুলো স্টাটাস দিয়েছেন অনেকেই।

শাহরিয়ার কবির নীরব নামে এক যাত্রী লেখেন, ‘ঈদের টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই দুর্নীতি। নামমাত্র ই-টিকেটিং সার্ভিসে যাত্রীদেরকে হেনস্তা করা হয়েছে। সকাল আটটায় টিকিট ছাড়ার কথা থাকলেও আটটা ৪৫ মিনিটে ই-টিকেটিং অনলাইন সার্ভিসে লগইন হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে টিকিট অ্যাভেলেবল-০০!’ জি এম আজাদ হোসাইন এক টিকিটপ্রত্যাশী লিখেছেন, ‘এরা দেশের মাটি বিক্রি করে দিক আমরা অন্য কোনো দেশে চলে যাই!! সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছি! ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না! শুধু লেখা আসে ‘ইউ আর ভেরি ভ্যালুয়েবল টু আস’। এক ঘণ্টার চেষ্টায় যখন ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারলাম তখন দেখি টিকিট শেষ!

২৭ তারিখের ঢাকা-খুলনার কোনো টিকিট আর নাই!! যেখানে ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় না সেখানে টিকিট শেষ হয়ে যায় কীভাবে?’ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট কার্যক্রম পরিচালনা করে সহজ ডট কম। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফরহাদ মাজহারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ও বন্ধ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলীকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। গত ১৩ এপ্রিল রেল ভবনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

এই টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ওইদিন (২৭ এপ্রিল) থেকেই ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। চলবে আগামী ১ মে পর্যন্ত। লিখিত বক্তব্যে রেলমন্ত্রী জানান, ২৩ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট, ২৪ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ২৭ এপ্রিল দেওয়া হবে ১ মের টিকিট।

এদিকে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেনের অগ্রীম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকার কমলাপুর, বিমানবন্দর, তেজগাঁও ও ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়, চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এদিন দেওয়া হয় ২৭ এপ্রিলের টিকেট। সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় টিকেটের জন্য যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়। স্টেশনের ১৬টি কাউন্টারের সামনেই দীর্ঘ লাইন। টিকেট নিয়ে বেরিয়ে আসা সানজিদা আখতার নামে এক নারী বলেন, ভাইয়া এসেছি গতকাল (গত শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, এখন (৮টা ১৫ মিনিটে) পেলাম কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকেট। হিসাব করে দেখেন, কত ঘণ্টায় টিকেট পেলাম। তারপরও পেয়েছি। রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, তারা প্রতিদিন প্রায় ২৭ হাজার টিকেট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

এই টিকেটের অর্ধেক স্টেশনের কাউন্টারে এবং বাকি অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি হওয়ার কথা। তিনি বলেন, আজকে (গতকাল শনিবার) থেকে অগ্রিম টিকেট কাটা শুরু হল একযোগে অনলাইন ও কাউন্টারে। পাঁচটি স্টেশনে এই অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। যতক্ষণ টিকেট থাকবে, ততক্ষণ যাত্রীরা টিকেট পাবেন। কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও টিকেট দেওয়া হচ্ছে। সায়েরা নামে আরেক নারী জানান, তিনি রাত থেকে অপেক্ষা করে টিকেট পেয়েছেন রংপুরের। পরিবারের চারজনের টিকেট নিয়েছেন তিনি। অগ্রিম টিকেট কাটার সময়ে যাত্রীদের এনআইডি বা জন্মসনদের ফটোকপি দেখাতে হচ্ছে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারজনের টিকেট কিনতে পারছেন।

সেক্ষেত্রে তাকে অন্য তিনজনেরও এনআইডি বা জন্মসনদ দেখাতে হচ্ছে। গতকাল শনিবার ২৭ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। রোববার বিক্রি হবে ২৮ এপ্রিলের টিকেট, সোমবার ২৯ এপ্রিলের টিকেট, মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিলের টিকেট এবং বুধবার ১ মের টিকেট বিক্রি হবে। ঈদের পর ফিরতি যাত্রা শুরু হবে ৫ মে থেকে। সেই টিকেট বিক্রি হবে ১ মে। এরপর যথাক্রমে ৬ মের জন্য ২ মে, ৭ মের জন্য ৩ মে এবং ৮ মের জন্য ৪ মে টিকেট কেনা যাবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ মে ঈদুল ফিতর হবে। সে অনুযায়ী ঈদের ৯ দিন আগে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করল বাংলাদেশে রেলওয়ে। তবে ঈদ যদি ৪ মে হয়, তবে ২৮ এপ্রিল বিক্রি হবে ২ মের ট্রেনের টিকেট।

গত দুই বছর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ঈদে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দুই বছর পর ঈদযাত্রায় ফিরেছে ট্রেন। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য নিয়মিত ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২ ট্রেন চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলাচল করবে। এছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল একই সময়ে চলাচল করবে। ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল ট্রেন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের অতিরিক্ত রেক দিয়ে চলাচল করবে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত।

এছাড়া ঈদের দিন ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়ায় স্পেশাল-১ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল-২ চলাচল করবে। মধ্য রাত থেকে লাইনে টিকেটের জন্য সেহেরি খেয়ে কমলাপুর স্টেশনে আসেন সোহরাব হোসেন। তিনি পরিবারকে নিয়ে ২৭ এপ্রিল যশোর যাবেন। তার চারটি টিকেট প্রয়োজন। সোহরাব বলেন, সেই ফজরের নামাজ পড়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন বাজে সাড়ে ৯টায়। এখনও আমার সামনে ৩০ জন। হয়ত কাউন্টারের মুখে পৌঁছাব আরও ঘণ্টাখানেক পর। টিকেট কাটার এই ভোগান্তি অবসানে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ঈদে স্বচ্ছন্দ্যে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি যেতে ট্রেনই নিরাপদ বাহন। সেজন্য এত কষ্ট স্বীকার করেও অপেক্ষার পর অপেক্ষায় সময় গুনছি।

ভিড় হবে বলে আগেই পরিবারের সদস্যদের পাঠানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাংককর্মী রাশেদা বেগম। তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের আগেই পাঠাব, যাতে তারা নিরাপদে গিয়ে দাদুর সাথে থাকতে পারে। সেজন্য টিকেট কিনতে এসেছি। কিন্তু লাইনের গতি কম মনে হলেও শেষ পর্যন্ত সকাল ৯টায় টিকেট পেয়েছি হাতে। খুব ভালো লাগছে যে তিন ঘণ্টা লাইনে থেকে এই টিকেট পেলাম। সারা রাত সংবাদপত্র বিছিয়ে অনেকে বসেছিলেন স্টেশনে। সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেলো পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ওইসব পত্রিকার কাগজের স্তূপ একদিকে সরিয়ে নিচ্ছেন।

কমলাপুর স্টেশনের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ৩৬টি আন্তঃনগরে আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৭৭২টি। আরও কিছু বগি যোগ করে আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। কমলাপুর স্টেশনে ১৬টি কাউন্টার থেকে বিক্রি করছে। নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে। অনলাইন টিকেটে সার্ভারে ক্রটি হচ্ছে এমন অভিযোগও যাত্রীদের। ফলে অনেকে সার্ভারে ঢুকতে পারে না। সহজ ডটকম নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনলাইন টিকেট বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে। এর আগে সিএনএস নামে আরেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেনের টিকেট বিক্রি করত। যাত্রীদের কেউ কেউ বলেছেন, টিকেট কাউন্টারে গিয়ে নিজের পছন্দের টিকেট পাওয়া যায় না।

কেবিন চাইলে পাওয়া যায় এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার দিচ্ছে। টিকেট নিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। অগ্রিম টিকেট কিনতে এসে ট্রেনের নিয়মিত যাত্রীরা পড়ছেন বিপাকে। তারা স্টেশনের প্রবেশ করতে বেগ পাচ্ছেন। সাইফুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী বলেন, ট্রেনে যাব। কিন্তু ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে স্টেশনেরই প্রবেশ করতে পারছি না। এভাবে চললে রেলওয়ে। এটা কেমন কথা। অগ্রিম টিকেটের জন্য আসা যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো কোনা টিকেট কাউন্টারে সার্ভারে সমস্যার কারণে যাত্রীরা টাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাউন্টারের ভেতর থেকে বলা হচ্ছে- ‘একটু অপেক্ষা করেন’।

‘কালোবাজারি রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা’ কমলাপুরের স্টেশন ব্যবস্থাপক মাসুদ বলেন, কালো বাজারে টিকেট বিক্রি রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে আরএমপি, র‌্যাব, পুলিশসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছেন। রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তারা সর্বক্ষণ মনিটরিং করছেন। যেন এটা নিশ্চিত হয় যে, টিকেট যাত্রীরা কাউন্টার থেকে পান। এই ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। স্টেশন ব্যবস্থাপক মাসুদ জানান, ঢাকা থেকে খুলনা এবং ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ এই দুটি বিশেষ ট্রেন চলবে, যার টিকেট বিক্রি হবে ২৫ এপ্রিল থেকে। স্টেশন ম্যানাজার সাহেব যাই বলুন না কেন, এটা লোক দেখানো কথা।

এদিকে ঢাকার পাঁচটি স্টেশন থেকে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় কমলাপুর স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ কমেছে। স্বস্তিতে টিকিট কাটতে পারছেন যাত্রীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। সকালে তিস্তা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস ও জামালপুর এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এসব গন্তব্যের টিকিট কাটতে সকাল থেকেই স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে।

তবে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ৯০ শতাংশ টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেনের মোট টিকিটের ৫০ শতাংশ কাউন্টারে এবং বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী ২৭ এপ্রিলের টিকিট গতকাল শনিবার বিক্রি করা হচ্ছে। সকালে অনলাইনে সার্ভারে কিছু সমস্যা থাকলেও কাউন্টারে শৃঙ্খলার সঙ্গে টিকিট বিক্রি চলছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, তেজগাঁও রেল স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের তেমন ভির নেই। পুরুষদের দুটি লাইনে ৮-১০ জন করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

ভোটার আইডি কার্ড ও নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে টিকিট কিনছেন। নারীদের লাইনে মাত্র দুজনকে টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট পেয়ে খুশি যাত্রীরা। তিস্তা এক্সপ্রেসে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ট্রেনের টিকিট পেয়ে খুশি যাত্রী পারভেজ। তিনি বলেন, ঈদে টিকিট পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কাউন্টারে গিয়ে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেই টিকিট পেয়েছি। পরিবারের চার সদস্যদের জন্য চারটি টিকিট নিয়েছি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris