শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে হবে: সিইসি

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, একটা সুন্দর গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। আমরা অর্থহীন সংলাপ করছি না। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে দেশের জ্যেষ্ঠ ইলেকট্রনিক্স সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে এদিন বেলা ১১টায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহীসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের নিয়ে ইসির চতুর্থ ধাপের সংলাপ শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংলাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কথা হয়েছে।

আমরা এরইমধ্যে এ নিয়ে কয়েকটি মিটিং করেছি। যেহেতু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু ইভিএমের যে সুবিধাটা সেখানে পেশিশক্তির ব্যবহার হ্রাস করতে পারে, যেখানে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণ করা যায় না। কাজেই ইভিএমের ভালো দিক আছে। হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা ইভিএম নিয়ে স্টাডি করছি, যেটা জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছেন। নির্বাচনে কেউ আসল, কী আসল না এটা আমাদের দায়িত্ব নয়। কেউ কেউ বলেছেন- দলগুলো যদি তাদের লোকবল দিয়েই ভারসাম্য করতে পারে, নির্বাচনে যদি দুপক্ষ থাকে, তবে দুপক্ষকে খেলতে হবে, তাহলে নির্বাচনটা ওইদিক থেকে সহজ হয়। স্বচ্ছতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কেন্দ্রের ভেতরে ক্যামেরা ও বাইরের মনিটরে দেখা যায়- এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমার সহকর্মীরাও বিশ্বাস করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিচরণ যদি থাকে, তারাও রিপোর্ট করতে পারবেন। একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের সাধারণভাবে ওপেন হতে হবে। তথ্য দিতে হবে বলে মনে করি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সৎভাবে দায়িত্ব পালনের স্প্রীহা ও চেষ্টা আছে, থাকবে। ব্যাপক অনিয়মের তথ্য আমাদের কাছে আসলে সাহস নয়, আমাদের দায়িত্ব হয়ে যাবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার। অনেক বিধান আমাদের অনুকূলে থাকলেও তা প্রয়োগের হার বাড়াতে হবে।

নির্বাচনকে হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখতে যা যা করতে হয়, তা তা করতে হবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যেন ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় কারচুপির হয়, সেটা রোধ করতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য, দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করবো- যোগ করেন তিনি। সিইসি বলেন, কে নির্বাচনে অংশ নেবে, কে নেবে না সেটা ফোর্স (জোর) করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে দায়িত্ব থাকবে আহ্বান করা যে- আপনারা আসেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে অংশ না নিলে কিন্তু গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। গণতন্ত্র বিকশিত হয় কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমেই।

সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, আস্থার সংকট কাটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আপনাদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে আস্থার সংকট কাটিয়ে নির্বাচন করতে চাই। সিইসি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরই অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আপনাদের মতামত নিতে আপনাদের মূল্যবান কথা শুনবো। আমরা আপনাদের মতামত নোট করে পর্যালোচনা করবো। সংলাপের মতামত নিয়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ করা হবে।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন- এনটিভির বার্তা প্রধান জহিরুল আলম, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান, আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, একুশে টিভির হেড অব নিউজ রাশেদ চৌধুরী, বাংলাভিশনের হেড অব নিউজ আবদুল হাই সিদ্দিক, মাইটিভির হেড অব নিউজ শেখ নাজমুল হক সৈকত, সময় টিভির হেড অব নিউজ মুজতবা দানিশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির চিফ নিউজ এডিটর আশিস সৈকত, মাছরাঙ্গা টিভির হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক,

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন, দেশ টিভির চিফ নিউজ এডিটর বোরহানুল হক সম্রাট, নিউজ ২৪’র এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, ডিবিসি নিউজের সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম, বাংলা ট্রিবিউনের বার্তা প্রধান মাসুদ কামাল, গ্লোবাল টিভির এডিটর সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ,

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক, যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ এবং স্পাইস টিভির এডিটরিয়াল হেড তুষার আব্দুল্লাহ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris