রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

নিয়ামতপুরে সেচের জন্য কৃষককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা দেখার কেউ নেই

Paris
Update : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

নিয়ামতপুর থেকে প্রতিনিধি : আর কিছু দিনের মধ্যে মাঠ থেকে ধান কাটার কাজ শুরু করবে কৃষক। কিন্তু পুরো বোরো মৌসুমে নওগাঁর নিয়ামতপুরে কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও দেখার কেউ নাই ব্যক্তি মালিকানা সেচযন্ত্র ও বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটরদের বিরুদ্ধে। এবারে বোরো ধানে লোকসান হতে পারে বলে মনে করছেন এ এলাকার কৃষক। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিএমডিএর গভীর নলকূপ রয়েছে ৬০৪ টি এবং ব্যক্তি মালিকানা সেচযন্ত্র রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১শ টি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরোধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরোধানের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৩শ হেক্টর জমি বিএমডিএর অধীনে এবং বাঁকিগুলো ব্যক্তি মালিকানা সেচযন্ত্রের অধীনে চাষ হচ্ছে। উপজেলা সেচ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর সেচ কমিটির সভায় বোরো মৌসুমে ব্যক্তগত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে উপজেলার হাজিনগর, নিয়ামতপুর, রসুলপুর ও পাঁড়ইল ইউনিয়নে ১৬ শ টাকা এবং চন্দননগর, ভাবিচা, শ্রীমন্তপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ১৪ শ টাকা বিঘা প্রতি নির্ধারণ করা হয়।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সব ইউনিয়নে সেচ কমিটির নির্ধারিত ফির থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের টিটিহার এলাকায় ২৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রতি বিঘা হিসেবে। টিটিহার এলাকার কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, দেড় বিঘা জমিতে বোরোধান লাগিয়েছি। আমাদের এলাকায় প্রায় সবাই সেচের জন্য ৩ হাজার টাকা নিচ্ছে। তবে সেচের রেট এত কম আমরা জানতে পারিনি। মাইকে সকলকে জানালে আর বেশি টাকা নিতে পারবে না।

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের রামকুড়া মোড়ে এক লাইনে তিনটি মর্টার চালান মুরশেদ আলম। তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সবকিছু বৈধ নয় কিন্তু জমিতে সঠিকভাবে পানি দেওয়ার স্বার্থে এ কাজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই সেচযন্ত্রের অধীন কৃষক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৫ শ টাকার নিচে পানি দিচ্ছেন না এবং অগ্রিম টাকা না দিলেই পানি আটকে দেন বলে জানান ওই কৃষক। বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

সেচ কমিটির নির্ধারণ করা ফি মাইকের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। অতিরিক্ত ফি আদায় করলে ডকুমেন্ট সহকারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris