শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

বাগমারায় লিচু বাগানে মুকুলের সমারোহ, পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

Paris
Update : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২

শামীম রেজা : বাগমারায় বছর কয়েক ধরেই শুরু হয়েছে বাণিজ্যিক ভাবে লিচু চাষ। গড়েও ওঠেছে বেশ কিছু লিচু বাগান। এসব লিচু বাগান এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে। চাষীরা এখন উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। অনেকে বাসাবাড়ির আঙ্গিনাতেও ছোট আকারে লিচু বাগান শুরু করে বেশ লাভবান হয়েছেন। লিচু বাগানে এসেছে অনেক মৌমাছি। ফুলে ফুলে পরাগায়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌমাছিগুলো।

হাজার হাজার মৌমাছির আগমনে মনে হচ্ছে মৌচাক যেন লিচুর বাগানেই তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার মাড়িয়া গোয়ালকান্দি ও হামিরকুৎসা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সেখানে বাণিজ্যিক ভাবে লিচু বাগান শুরু করেছেন অনেকে। বাগান গুলোতে এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে। বলা যায় উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামটি লিচু বাগানের জন্য বেশ পরিচিত। এই গ্রামেরই বাসিন্দা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বিগত তিন বছর আগে স্বল্পপরিসরে লিচু বাগান শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সাড়ে তিনবিঘা জমিতে লিচু বাগান সম্প্রসারণ করেছেন।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ এর এসব বাগান এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। আসাদুজ্জামান জানান, লিচু বাগান করে অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়া যায়। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি নিজেই এসব বাগানের পরিচর্যা করে। একই গ্রামের আরেক লিচু চাষী লুৎফর রহমান। তিনি জানান, এবার লিচুর মুকুল আসার পর কিছুটা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতে লিচু বাগানের অনেক উপকার হয়েছে। মুকুলগুলো শক্ত হয়েছে।

এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গোয়ালকান্দির আরেক লিচু চাষী আহাদ আলী বলেন, পাঁচ বছর ধরে তিনি লিচুর বাগান করছেন। দুই বিঘা জমিতে লিচুর এই বাগান গড়ে তুলেছেন। এবার তার বাগানের প্রত্যেকটি গাছে মুকুল এসেছে। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে এসব বাগানের পরিচর্যা করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই উপজেলায় প্রায় বিশ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। আমের চেয়ে লিচু বাগান করে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক এখন লিচু বাগানের প্রতি ঝুকে পড়েছেন। আমরা কৃষকদের উন্নত লিচু চাষ ও বাগান পরিচর্যায় বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris