শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

চলতি অর্থবছরের ৭ মাসেই খরচ হয়ে গেছে ভর্তুকির ৭১ ভাগ টাকা

Paris
Update : শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

এফএনএস : ভর্তুকির জন্য বাজেটে রাখা বরাদ্দ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসেই ভর্তুকির ৭১ শতাংশ টাকা খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ভর্তুকির বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য ধরনা দিচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কৃষি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে ওই দুটি মন্ত্রণালয় ৬০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রণোদনা চেয়ে পত্র পাঠিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি, বিদ্যুৎ, রফতানি ও রেমিট্যান্স খাতে ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে ২৮ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ব্যয় করা হয়েছে ২০ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। যা ভর্তুকির মোট বরাদ্দের ৭১ শতাংশ। ওই সময়ে ভর্তুকি প্রাপ্তিতে শীর্ষে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাজেটে ওই মন্ত্রণালয়ের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রয়েছে। তার মধ্যে ৭ মাসেই ভর্তুকির ৫ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা অর্থ ছাড় করা হয়েছে। আর বিদ্যুৎ খাত ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির বিপরীতে পেয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। তাছাড়া রফতানি খাতে ৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দের মধ্যে ৭ মাসে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আর রেমিট্যান্স খাতে খরচ করা হয়েছে ৩২শ’ কোটি টাকা। ওই খাতে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সূত্র জানায়, বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকি খাতে ৪৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) বাজেটে ভর্তুকি, নগদ সহায়তা, প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ ছিল ২৮ হাজার ৪৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১ দশমিক ৩ ভাগ। তার আগের অর্থবছরের বাজেটে ওই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১ দশমিক ২ ভাগ। যদিও সংশোধিত বাজেটে ওই ভর্তুকির পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৩০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। তার আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়লেও সরকার অভ্যন্তরীণ বাজারে সারের দাম বাড়ায়নি। আর সারের দাম না বাড়ানোর কারণে এ বছর ভর্তুকির প্রয়োজন পড়বে ২৮ হাজার কোটি টাকা। কারণ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি ইউরিয়া সার আন্তর্জাতিক বাজারে ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৯৬ টাকা হয়েছে। কিন্তু সরকার ওই সার আগের দামেই প্রতি কেজি ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছে। অন্যদিকে অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্স প্রণোদনার হার ২ ভাগ থেকে বাড়িয়ে আড়াই ভাগ করা হয়েছে।

ফলে ওই খাতে প্রণোদনার পরিমাণ সংশোধিত বাজেটে বাড়িয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা করা হতে পারে। ইতিমধ্যে কৃষি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে বর্ধিত ভর্তুকি চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়েল কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলতি বছর বাজেটে রক্ষিত প্রণোদনা লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। কারণ বছর শেষে কৃষি ও জ্বালানি খাতে আরো ভর্তুকির প্রয়োজন পড়বে। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয় ৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris