শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

এক লিটারের বেশি তেল বিক্রি না করার সিদ্ধাস্ত রাজশাহী নগরের ব্যবসায়ীদের

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : দাম বেড়ে যাওয়া ও সংকট কমাতে এক লিটারের বেশি তেল বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাজশাহীর সাহেববাজার বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যবসায়ীরা বলছে, তেলের এই সংকট নিরসনে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে বোতল জাত এক লিটারের বেশী তেল তারা বিক্রি করা হচ্ছে না।
এদিকে, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের ডালের দাম কেজিপ্রতি দশ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের দামও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুনের বেশি। চিনির দামও খুচরা বাজারে বেড়েছে কেজিতে চার টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম বাড়তি থাকায় আমরাও চাহিদামত তেল পাচ্ছি না। তাই তেলের সংকট কমাতে এক লিটারের বেশি তেল বিক্রি করছি না। এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে তেলের দাম ছিল ১৬০ টাকা লিটার, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা লিটারে। চিনির দাম এখন ৮০ টাকা প্রতি কেজি। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ৭৮ টকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, মটর ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৭২ টাকা এবং কলাই ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২০ টাকা দরে।

পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে ২০ থেকে ৬০ টাকায় দাড়িয়েছে। বেড়েছে কাঁচামরিচসহ আলু ও লেবুর দাম। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে । যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। লেবু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা হালিতে যা গত সপ্তাহে ছিল ১০ টাকা হালি। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজি উৎপাদন বাড়লেই কমে যাবে সব ধরনের সবজির দাম তাছাড়া সামনে ডালের মৌসুম তাই ডালের দামও খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ। গত কয়েকদিনে তেল মজুদ রাখা, তেলের বোতলের গায়ে মূল্য উঠিয়ে দেওয়া, দাম বেশি নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের জরিমানা, দোকান সীলগালা ও সতর্কতা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপÍর রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছি এবং তেল মজুদ রাখার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে তেল উদ্ধার করেছি। সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট কাটাতে ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোক্তা অধিকার নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris