শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

বাগমারায় কমছে আদি সেচযন্ত্র জাঁতের ব্যবহার

Paris
Update : শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২

শামীম রেজা : রাজশাহীর বাগমারায় প্রায় ৮৫ ভাগ লোক কৃষি পেশার উপর নির্ভশীল। গ্রামের প্রায় ভেতন দিয়ে একে বেকে বয়ে চলেছে নদী-নালা। বর্তমান সময়ে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির কারনে কমতে বসেছে পুরানত বা অতি প্রাচীন বেস কিছু কৃষি কাজের যন্ত্রাংশ। এর মধ্যে পানি সেচের আদি যন্ত্র হচ্ছে জাঁত। অঞ্চল ভেদে যার বিভিন্ন নাম থাকলেও বাগমারার কৃষকরা একে জাঁত বলে চেনে। এক কালে এই জাতের ব্যবহার ছিল কৃষকের ঘরে ঘরে। এখন জাঁত চলে গেছে যাদুঘরে। কৃষক হয়ে পড়েছে যন্ত্র নির্ভর।

মেশিন ষ্টাট দিলে অথবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করলেই ওঠছে পানি। শুধু পানি উত্তোলনই নয়। আধুনিক কৃষি কাজের ষাট সত্তর ভাগ হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে । যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষক হয়ে পড়েছে আরাম প্রিয়। তারপরও মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে কৃষি কাজে ব্যবহায্য আদি যন্ত্রপাতির ব্যবহার। কৃষি কাজে আদি দেশীয় এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারকারী কৃষকরা জানান, অভাবের কারণে নয় শখের বসে এবং আদি ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যই তারা এসব যন্ত্রের ব্যবহার চালু রেখেছেন। উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের মাধনগর গ্রামের এমনি এক কৃষক জাফর আলী।

বাড়ি সংলগ্ন একটি খালে তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। তার জমি সংলগ্ন রয়েছে একটি ছোট ডারা (জলাশয়)। সেখান থেকে তিনি অনয়াসেই ওই জমিতে একটি ছোট শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিয়ে বোরোর আবাদ করতে পারেন। তারপরও শখের বসে ওই ডারা (জলাশয়) থেকে জাঁত দিয়ে পানি তুলে বোরোর জমিতে সেচ দিয়ে যাচ্ছেন। তার দেখা দেখি আশপাশের আরো কয়েকজন কৃষক একই পদ্ধতিতে বোরোর জমিতে সেচ দেওয়া শুরু করেছেন। কৃষকরা জানান, জমি চাষ ও চারা রোপন সব কিছুই তারা শ্রমিক দিয়ে করেছেন।

এখন সেচের কাজটি তারা মেশিন দিয়ে না করে নিজেরাই জাঁতের মাধ্যমে করছেন। তাদের মতে, জাঁত দিয়ে অতি দ্রুত সেচ দেওয়া যায়। এতে তাদের এক প্রকার ব্যায়াম হচ্ছে। আগে তারা প্রচুর কায়িক পরিশ্রম করত। সেই তুলনায় এখন তাদের পরিশ্রম অনেক কমে গেছে। এভাবে তারা অলস সময় কাটিয়ে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার সহ নানান রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মূলত কায়িক শ্রম বাড়াতে ও কাজের মধ্যে থাকতেই তারা বোরোর জমিতে সেচের জন্য জাঁতের ব্যবহার ধরে রেখেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বাংলার কৃষির আদি ঐতিহ্য অনেক কৃষক এখনও শখের বসে ধরে রেখেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এসব আদি যন্ত্র একটি শিক্ষনীয় বিষয়। শখের বসে এসব আদি যন্ত্রের ব্যবহার কৃষিতে কৃষকের আগ্রহ ও ভালবাসার বহি:প্রকাশ। শুধু এসব আদি যন্ত্রপাতি নয় কৃষক এখন বিষমুক্ত বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে বিভিন্ন দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। যা মানব স্বাস্থ্য, প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য অপরিহার্য।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris