শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

চারঘাটে বাড়ছে চুরির ঘটনা থানায় নেই কোনো অভিযোগ

Paris
Update : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাটে দিনে ও রাতে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। উপায়ন্তর না পেয়ে কিছু এলাকায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসীরা। তবে অধিকাংশ ভুক্তভোগী চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করছেন না। তাঁদের ধারনা পুলিশকে জানালে চোররা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে যাবে। জানা যায়, গত এক মাসে চারঘাটের সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২০টিরও অধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরু, ছাগল, বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি মসজিদের জিনিসপত্রও চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে গত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সদস্যগণ বিষেদাগার করেছেন। তারপরও চুরিও ঘটনায় প্রশাসনের উল্লেখ্য যোগ্য কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটকও করতে পারেনি প্রশাসন।

ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে চারঘাট উপজেলা প্রশাসন ভবনের পাশে আব্দুল হাকিম বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। দিনের বেলায় ওই বাড়ির সকল ঘরের দরজা কেটে, আলমারি ভেঙে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়। তাঁর দুই দিন পরে পৌরসভার মিয়াপুর ও আশকরপুর গ্রামে আরো তিনটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সবচেয়ে দুর্ধস্ব চুরির ঘটনা ঘটেছে চারঘাটের সদর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল চোর ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়িতে আক্রমণ করে। এসময় চোরদের কাছে থেকে মহিষ উদ্ধারের চেষ্টা কালে তাঁরা সালামকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মুখে আঘাত করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী জেগে গেলে পার্শবর্তী মাঠে মহিষ রেখে পালিয়ে যায়। একই দিন ওই চোরের দল প্বার্শবর্তী পিরোজপুর এলাকার মইনুল ইসলামের দুইটা গরু চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার এ সপ্তাহ আগে প্বার্শবর্তী মিলিক লক্ষীপুর এলাকার মোশাররফ হোসেন ও একরামুল হকের দুইটা বড় ছাগল চুরি হয়।

এদিকে চোরদের আঘাতে গুরুতর আহত হয় মহিষ মালিক আব্দুস সালাম। তাঁকে সেদিন রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। তাঁর মুখমন্ডলে ৯২ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। সেদিন রাতেই ওই চোরের দল আবারও তাঁর বাড়িতে আসে। স্থানীয় লোকজন তাড়া করলে তাঁরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) পরানপুর ও পিরোজপুর গ্রামে আরো দুফা চুরির চেষ্টা চালায় চোররা। তবে উপরোক্ত চুরির ঘটনাগুলোতে থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়নি কেউ।

এমনকি আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হলেও ভয়ে থানায় অভিযোগ করেননি৷ এসব চুরির ঘটনায় কাউকে আটকও করেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। এ বিষয়ে আহত মহিষ মালিক আব্দুস সালাম বলেন, হাসপাতাল থেকে আমি ফেরার পরেও আমার বাড়িতে চুরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মুখে ৯২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। থানায় জানালে যদি তাঁরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে যায় এসব ভেবে কোনো অভিযোগ করিনি। তবে প্রশাসনের লোককে মৌখিক জানালেও উনারা কেউ আসেননি। এসব চুরির ঘটনায় মাদককে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, চুরি বেড়ে যাওয়া উদ্বেগজনক। এর পেছনে একটি অন্যতম কারণ মাদক।

মাদক এবং চুরি দুই বিষয়েই প্রশাসনের তৎপরতা কম। কাউকে আটকও করা হচ্ছেনা। এজন্য ভয়ে কেউ থানাতে অভিযোগও করছেনা। বিষয়গুলো থেকে দ্রুত পরিত্রাণ প্রয়োজন। এসব চুরির ঘটনায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও চোররা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। চুরি নয়, রীতিমত ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তবে তাতে আমাদের করণীয় কিছু নেই। এগুলো দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।

আমরা শুধু সবাইকে সচেতন করতে পারি। স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারাও দিচ্ছে। চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চুরির এতগুলো অভিযোগ আমরা পাইনি। যেসব অভিযোগ পেয়েছি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া চুরি ঘটনার কথা শুনে এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে এবং গ্রাম্য পুলিশদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris