শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুণী শিক্ষকদের প্রাইমারি স্কুলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুপারিশ

Paris
Update : শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২২

এফএনএস : অবসরে যাওয়া গুণী শিক্ষকদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি এমন প্রস্তাব করেছে। এতে দেশের সব জেলার গুণী শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন করে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক বিদালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা ও কৌশল বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের বিদেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তেমন ফলপ্রসূ হয়নি।

এতে বিপুল পরিমাণে সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও সেই অনুপাতে লাভ হয়নি। তার বদলে স্বল্প অর্থ ব্যয়ে অবসরে যাওয়া সারাদেশের গুণী শিক্ষকদের অথবা অবসরের জন্য অপেক্ষামানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। জেলাওয়ারি তাদের তালিকা তৈরি করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে বেশি ফলপ্রসূ হবে। জেলাভিত্তিক সেল গঠন করে পাইলট প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে এসব শিক্ষকদের খুঁজে বের করে তালিকা প্রণয়ন করার প্রস্তাব দেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সদ্য জাতীয়করণ হওয়া ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকের পাঠদানের সক্ষমতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।

এসব শিক্ষকদের দিয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশিক্ষণ দিয়েও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি। এ সমস্যা সামাধানে তিনি পূর্বের জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওইসব (সর্বশেষ জাতীয়করণ) বিদ্যালয়ে পদায়নের পরামর্শ দিয়েছেন। অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরুর আগে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়ে কমিটির আরেক সদস্য বলেন, পিছিয়ে থাকা শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য মনস্তাত্ত্বিকভাবে উদ্বুদ্ধকরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। দেশের ৬৪ জেলার শিক্ষকদের শেখানের কৌশল এবং দক্ষতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির আরেক সদস্য বেগম মেহের আফরোজ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের ক্ষেত্রে মাঠ সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। একটি মাঠ দুটি বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন থাকলে সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন জমির সীমানা নির্ধারণ করে আলোচনা করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা যেতে পারে। শুধুমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা ঘিরে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে পরবর্তীতে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

এ ক্ষেত্রে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি খারিজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জি এম হাসিবুল আলম বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ এবং সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জমি খারিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগির দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি খারিজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেটি হলে বাউন্ডারি ওয়াল এবং সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা অনেকাংশ নিরসন হবে। এছাড়াও অবসরে যাওয়া গুণী শিক্ষকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান জি এম হাসিবুল আলম।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris