শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

মান্দায় প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২

মান্দা প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় প্রতিবন্ধী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর অভিযান চালিয়ে উপজেলার নুরুল্লাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় ওই শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতেই মান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ৬ জানুয়ারি উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ মামলায় ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়াসহ সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দেওয়া মাতবরদের আসামী করা হয়নি। এনিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাঁরা মনে করেন অপরাধীদের বাঁচানোর কৌশল পুলিশের।

এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে নওগাঁ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ দলের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সালিশযোগ্য বিষয় নয়। যেসব ব্যক্তিরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সালিশ করেছেন তাঁরাও একই অপরাধের অপরাধী। এদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করা দরকার।
ন্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ৯ জানুয়ারি রাতে গ্রামের আনোয়ারা বিবির বাড়িতে সালিশের আয়োজন করেন স্থানীয় মাতবরেরা। সালিশে ধর্ষণের কথা স্বীকার করায় অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম সুটকাকে (৪৫) জুতাপেটাসহ আট হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। এদিন সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সুটকাকে নুরুল্লাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে নেওয়া হয়নি। গ্রাম্য একজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। পরে সালিশের মাধ্যমে মাত্র ৮ হাজার টাকায় এটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। ওইসব মাতবরদের আসামী করা হয়নি কেন এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে একজনকে আসামী করে মামলা করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা নওগাঁ হাসপাতালে সম্পন্নসহ আসামীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশের আয়োজক মাতবরদের কেন আসামী করা হয়নি জানতে চাইলে ওসি বলেন, শিশুটির বাবা শুধু একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাই অন্য কাউকে আসামী করা হয়নি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris