সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষিভিত্তিক বিদ্যুৎ বিলে রিবেট সুবিধা বন্ধ, বিপাকে খামারিরা

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি : কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎসাহিত করতে কৃষিভিত্তিক শিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ রিবেট (রেয়াত) সুবিধা দেয় সরকার। কিন্তু রাজশাহীর চারঘাটে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নোটিশ দিয়ে রিবেট সুবিদা বন্ধ করেছে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিলের রিবেট সুবিধা বাতিল হওয়ায় মুরগি খামিরিরা ও ক্ষুদ্র শিল্প মালিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

নাটোর পল্লী সমিতির-২ এর চারঘাট জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারী সিদ্ধান্তের আলোকে কৃষি ভিত্তিক শিল্পে ২০% রিবেট সুবিধা চালু আছে। তবে ২১/নভেম্বর থেকে এ সুবিধা চালতে রাখতে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও আয়কর প্রদানের সনদসহ সাত ধরনের দলিলাদি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিদ্যুৎ অফিসে প্রদান করতে হবে। নয়তো ২০% রিবেট সুবিধা বাতিল হবে।

এদিকে চারঘাটের কৃষি শিল্প মুরগির খামারিরা বলছেন, তারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এসব ধরনের দলিলাদি কাগজপত্র ছাড়াই রিবেট সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্তু পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়াই মাত্র ১৫ দিনের সময় দিয়ে রিবেট সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। এত অল্প সময়ে জেলা পর্যায় থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স জোগাড় করা সম্ভব না। এ অবস্থায় মুরগির খামারীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান তারা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের অক্টোবরে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের রফতানি উৎসাহিত করা ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১৫ শতাংশ রিবেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে রেয়াতের হার পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এটা এতদিন যাবত চলমান ছিল। চারঘাটের খামারিরা এতে লাভবান হচ্ছিল। চারঘাট উপজেলা পোল্ট্রি খামারি এসোসিয়েশনের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, এখন শীতকাল। মুরগির রোগ বালাইও বেশি। খামারে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সব সময় বিদ্যুৎ এর ব্যবহার চলছে। খাবার ও মুরগির বাচ্চার দামও বেশি। সকল খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ।

এ অবস্থায় পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়া বিদ্যুৎ বিলের রিবেট সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। এতে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল গুনতে হবে। এত অল্প সময়ে কাগজ পত্র জোগাড় করা সম্ভব না। কয়েক মাস সময় বাড়ালেও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ কম হতো। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলায় তিন শতাধিক মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ৮০-৯০ জন খামারি বিদ্যুৎ বিলে রিবেট সুবিধা পেয়ে থাকে।

এমনিতেই খামারিরা নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। মুরগির খামার শীত ও গরমে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে বিদ্যুৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুনতে হলে খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন কুমার সরকার বলেন, এটা সরকারী সিদ্ধান্ত। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কাগজপত্র জমা না দিলে ২০% রিবেট বন্ধ করা হবে। সকল কাগজপত্র জমা দিলে পুনরায় রিবেট সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris