স্টাফ রিপোর্টার, লালপুর : নাটোরের লালপুরে বেগুন চাষিরা অধিক হারে বেগুন উৎপাদনের লক্ষ্যে এ বছর প্রথম বারের মত পলি ব্যাগের ব্যবহার শুরু করেছে। উপজেলার রামানন্দপুর, সন্তোষপুর, কদিমচিলান, শোভ, চংধুপইল, কলসনগর, বালিতিতা সহ বিভিন্ন গ্রামে ও পদ্মার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, বেগুন চাষীরা কীটনাশক ছাড়াই পলিব্যাগ ব্যবহার করে বেগুন চাষ শুরু করেছেন।এতে বেগুন পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাচ্ছে। গাছে ও বেগুনে কীটনাশক ব্যবহার করা লাগছে না চাষীদের। নতুন এই পদ্ধতিতে বেগুনের উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ।
এতে বেগুন চাষীরা লাভবান হচ্ছে।এবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।এবিষয়ে উপজেলার বালিতিতা গ্রামের বেগুন চাষী আজিজুল শেখ বলেন,পলিব্যাগ ব্যবহার করার কারণে বেগুনে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বালাইনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।এই পদ্ধতি ব্যবহারে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বেগুন চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।জমির কাঠামোগত উপযুক্ত জমিতে ফলন আরো বেশি হচ্ছে।গাছ লাগনোর দুই মাসের মধ্যেই বেগুন বাজারজাত করা যাচ্ছে।
প্রচলিত বেগুন চাষে বেগুনের মধ্যে ও ডগাছিদ্রকারী পোকা দমনে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হতো।পলিব্যাগ ব্যবহারের জন্য এখন তা প্রয়োজন হচ্ছেনা।এবিষয়ে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,কীটনাশক প্রয়োগের কারণে কৃষকদের শারীরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তিনি আরো বলেন,কৃষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বেগুন চাষে পলিব্যাগ ব্যবহারে করে আপনরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন এবং পলিব্যাগ ব্যবহার করে বেগুনের কোন প্রকার ক্ষতি হয়না। এছাড়া বাজারে বিষ মুক্ত সবজি চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয় বলে জানান তিনি।