শুক্রবার

১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল রাসিক মেয়রের সাথে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ সিরাজগঞ্জে হেরোইন বহনের দায়ে গোদাগাড়ীর ২ যুবকের যাবজ্জীবন নিজের নামে কোনো প্রকল্প চান না প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী নগরীতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে : মেয়র গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

গোমস্তাপুরে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

Paris
Update : সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

গোমস্তাপুর সংবাদদাতা : নতুন ধানের আগমনে কৃষকদের মনে আনন্দ। দল বেধে কেউ ধান কাটছে. আবার কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছে। চলতি আমন মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কর্তন শুরু হয়েছে। এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় কিছুটা হতাশায় রয়েছেন কৃষকরা। অবশ্য কৃষি বিভাগের মতে, ধান কাটা যান্ত্রিক নির্ভর হলে শ্রমিক সংকট থাকলেও সমস্যা নেই।

এতে খরচ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার সর্বত্র এখন ব্যস্ত সময় পার করছে ধান কাটায় নিয়োজিত কৃষান-কৃষানিরা। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ১ শত ৯৮ মেট্রিক টন চাল।

কৃষক আরসাদ আলী জানান, এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-৫১ চাষ করেছি। নিয়মিত পরিচর্যা করায় ফলন ভালো হয়েছে। ধান কর্তন শুরু হয়েছে। আশা করছি ২২৫ থেকে ২৭০ মণ ধান পাবো। প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। কখনও শ্রমিকের যোগান পেলেও অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে আনতে হয় তাদের। জমির ধান উঠাতেও বিলম্ব হয়। এতে অনেক জমিতে ধান ঝরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ধান কাটা শ্রমিক শ্রীমতি সবিতা রানী বলেন, গত ২দিন থেকে আমন ধান কাটা শুরু করেছি। ২০ মণ ধান কেটে দিলে ৪ মণ পাবো মজুরি। এক বিঘা জমির ধান কাটতে তিনজনকে একদিন সময় লাগছে। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি ব্রী-৫১ ধান বিঘাতে ১৫ থেকে ১৮ মণ ফলন হবে। আমরা আনন্দের সাথে ধান কাটছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার জানান, এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। নতুন নতুন ধানের জাত দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের মধ্যে।

এবার গোমস্তাপুর উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৪৭০ হেক্টর, কিন্তু অর্জন হয়েছে ১৫ হাজার ৫১০ হেক্টর। আমাদের হিসাব মতে এখন পর্যন্ত ৫% ধান কর্তন করা হয়েছে। চাষাবাদের সময় এবং তার কিছু পরে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন তাপমাত্রা বেশী, পোকামাকড়ের উপদ্রব ইত্যাদি। কিন্তু আমরা কৃষকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ করে কৃষকের দৌড়গোড়ায় সেবাটা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। বালাই নাশকের চাহিদা অনুযায়ী মজুত এবং সরবরাহটা স্বাভাবিক রেখেছি। ফলে পোকামাকড় দমন করতে সক্ষম হয়েছি। এখন যে অবস্থা তাতে আশা করি ধানের ফলন ভালো পাবো। যেমন এবার আমাদের আবাদ হয়েছে ব্রী-৮৭ নতুন জাত বীনা-১৭।

কৃষকের মধ্যে এই ধানগুলো নিয়ে আগ্রহ এবং সন্তুষ্টি রয়েছে। বোরোতে আমরা নতুন জাত যেমন ব্রী-৮৮ সরবরাহ করবো। ব্রী ধান ২৮ এর বিকল্প ধান হচ্ছে ব্রী ধান ৮৮। নতুন একটি জাত এসেছে বঙ্গবন্ধু ১০০ সেটাও আমরা সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করবো। আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন জাত,নতুন প্রযুক্তিকে কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris