রবিবার

১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ

চারঘাটে আগাম শিম চাষে কৃষকরা লাভবান

Paris
Update : সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : বেগুনি রঙের ফুলের শোভায় ভরে উঠছে শিমখেত। প্রকৃতিও বেশ অনুকূলে। শীতের শুরু না হতেই খেত থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করছেন চাষিরা। ভালো দাম পেয়ে চাষিদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির আভা। রাজশাহীর চারঘাটে আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম। প্রতিবছরই জেলার উঁচু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে আসছে আগাম শিম। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন শীতের সবজি শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। শীতের সবজি শিমখেতের দিকে তাকালেই দেখা যায়, সবুজের সঙ্গে দুলছে বেগুনি রঙে রাঙানো ফুল। সাদা ও বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে গ্রামের সবুজ খেতের প্রকৃতি সেজেছে যেন অন্য রকম এক মুগ্ধতায়।

গত মঙ্গলবার সকালে চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠজুড়ে শিমখেত, যা অপরূপ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। শিমের গাছ, পাতা-ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। নন্দনগাছী গ্রামের বাহাদুর আলী এ বছর নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে শিম আবাদ করেছেন। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কিছু শিম তুলে বিক্রি করেছি ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। শীত শুরুর আগে আগে শিম বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি হবে। সেভাবেই শিমের খেত তৈরি করেছি। বরকতপুর এলাকার কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, এবার ২২ শতাংশ জমিতে শিম আবাদ করেছেন তিনি। গত বছর এ সময় অতিবৃষ্টিতে শিমখেত নষ্ট হয়েছে।

তাই খুব একটা লাভ হয়নি তাঁর। এবার আগাম জাতের শিম বিক্রি করে বেশ দাম পা”েছন। এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো দামে আরও বেশি শিম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। গ্রামের চাষিরা বলেন, মৌসুমের শুরু সেজন্য ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে শিম কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দামও কমে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও ভালো লাভ হবে। এদিকে চারঘাট সদর বাজারে গতকাল শিম বিক্রি হচ্ছে খুচরা ১২০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গত কয়েক বছরে শীতকালীন সবজির আবাদ বেড়েছে। এ বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি। চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, শীতকালীন সবজি শিম আগাম বাজারে নিয়ে আসতে হলে মার্চ-এপ্রিলে জমিতে লাগাতে হয়। মে-জুনেও লাগানো হয়ে থাকে। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris