রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

ভারতীয় পণ্য রেলপথে আমদানিতে লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ী ও সরকার

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে রেলপথে পণ্য বাড়ায় ব্যবসায়ী ও সরকার লাভবান হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীও রেলপথে পণ্য আমদানিতে বেশি আগ্রহী। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল রেলপথে ভারত থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৯ টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। ওই সময় রেল ভাড়া বাবদ সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩১ কোটি ৪০ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩০ টাকা। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেলপথে ভারত থেকে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩ টনের মতো পণ্য আমদানি হয়েছিল।

যা থেকে ৮ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা সরকারের রাজস্ব আদায় হয়। আর চলতি অর্থবছরের আগস্টে বেনাপোল দিয়ে রেলের মাধ্যমে ভারত থেকে ২২ হাজার ৮৫৫ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এই সময় রেলের রাজস্ব আয় এসেছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৯ টাকা। তার আগে জুলাইয়ে পণ্য আমদানি হয় ৩৯ হাজার ৪৯৯ টন। ওই মাসে রেলের রাজস্ব আয় আসে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৯ টাকা। বেনাপোল বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়দের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্থলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা ভারতের বনগাঁ কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। সেখানে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সিরিয়ালের নামে ট্রাকপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতো। করোনার শুরুতে ওই ধরনের প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় বাজারে তার নেতিবাচ প্রভাব পড়ে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছরের ৪ জুন থেকে সরকার রেলে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে।

সূত্র জানায়, ভারত থেকে রেলপথে পণ্য আমদানিতে খরচ সাশ্রয় আর নিরাপদ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দিন দিন রেলপথে বাণিজ্যে ঝুঁকছে। আগে মাসে ৪-৫টি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন কার্গো রেল, সাইডোর কার্গো রেল এবং প্যার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। তাতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে লাভবান হচ্ছে।

এদিকে রেলপথে পণ্য আমদানি প্রসঙ্গে রেলওয়ের বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. শাহিদুজ্জামান জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে স্থলপথের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। চলছে বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ। ওসব কাজ শেষ হলে রেলপথে বাণিজ্য আরো বাড়বে।

আগে রেলপথে পাথর ও জিপসাম-জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে গার্মেন্ট, কেমিক্যাল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আসছে। অন্যদিকে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি সচল রয়েছে। তাতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রেল খাতে সরকারের ৪ গুণ বেশি রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris