এফএনএস : আগামী ১১ নভেম্বর ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের ৮৬তম সভা শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হুমায়ূন কবীর খন্দকার। দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ইসি সচিব। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর।
বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ ১১ নভেম্বর। এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান।
এদিকে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত। গতকাল বুধবার কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কে এম নূরুল হুদা বলেন, পরবর্তী কমিশন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটিকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, নতুন কমিশন কী হবে সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মতামত থাকে না। কমিশনের কাছে সাধারণত মতামত চাওয়া হয় না। যদি চাওয়া হয় তাহলে আমরা কমিশন বসে দেখবো, আমাদের কোনো মতামত আছে কিনা। ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া জানতে চাইলে কে এম নূরুল হুদা বলেন, এটি তো রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গত বছর যেমন রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এটি তো রাষ্ট্রপতির বিষয়। সেটি আমরা বলতে পারবো না।