সোমবার

১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাটের ভাল উলন-দাম পেয়ে খুশি কৃষক

Paris
Update : শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : পাটের ভাল ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা। জেলায় পাট কেটে নদিতে জাগ দেওয়া ও আঁশ ছড়ানোর কাজ চলছে পুরোদমে। কৃষকরা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার ইসলামপুর,শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর, বাররশিয়া, দুলর্ভপুর ও খাষেরহাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে পাট চাষি সেলিম আলী জানান,এবছর দেড় বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম ১০ কাঠার পাট কেটে বিক্রি করে দাম পেয়েছি ১৩ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমির পাট কেটে আজ জাগ দিচ্ছি। এবার পাটের ফলন ও দাম বেশ ভাল। আশা করছি এই এক বিঘা জামির পাটে প্রায় আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পাব। আর আমার তিন বিঘা পাটে মোট খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।

শিবগঞ্জ উপজেলার মুসলিমপুর এলাকার এরফান ফারুক জানান, পাট চাষে খরচ খুবই কম তাই প্রতিবছর পাট চাষ করি এবার তিন বিঘা জামিতে পাট চাষ করেছিলাম। ফলন বেশি হওয়ায় সব কর্যক্রম শেষ করতে পারিনি। আজও এক বিঘা জমির পাট জাগ দিচ্ছি। আর দুই বিঘা জমির ২১ মণ পাট বিক্রি করেছি ২৭০০ টাকা মণ দরে। গোমস্তাপুর উপজেলার চানপুর এলাকার রুবেল নামে আরও এক পাট চাষি জানান, তিনি ১২ কাঠা পাট চাষ করেছিলেন এবছর এতে পাট হয়েছে প্রায় ৫ মণ বিক্রি করেছেন সাড়ে ১২ হাজার টাকায়। আর পাটখড়ি হয়েছে সাড়ে তিন মণ বিক্রি করেছেন এক হাজার টাকায়।

কানসাটের হাসান আলী নামে এক পাট আড়তদার জানান, গত বছর এসময় পাট ক্রয় করেছিলাম ১২’শ-১৩”শ টাকা মণ এবার করছি ২৫”শ-২৭”শ টাকা মণ দরে। আর পাটখড়ি ক্রয় করছি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মণ দরে। পাটের দাম এ বছর প্রথম থেকেই ভাল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবছর জেলায় ৩০৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। জেলার ৫ উপজেলার মধ্যে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় এবার পাট চাষ বেশি। গত বছর শেষ দিকে ভাল দাম পাওয়ায় এবার পাট বেশি চাষ করেছিলেন চাষিরা। এবারও দাম বেশ ভাল চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। গত বছর এই জেলায় পাট চাষ হয়েছিল ১৭৬৫ জমিতে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris