শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

অর্থনীতির চাকা সচলে চাহিদা বাড়লেও ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার নেই

Paris
Update : শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাত গতিশীল হতে শুরু করেছে। ফের চাঙ্গা হয়ে উঠছে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য। ফলে আমদানি-রফতানি বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। করোনায় লকডাউনের কারণে নতুন বিনিয়োগে গত বছর উদ্যোক্তারা নীরব থাকলেও এখন ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড (বিডা) চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে দেশি-বিদেশি ১৮৪টি শিল্প ইউনিট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। অথচ গত বছরে একই সময়ে নিবন্ধিত হয়েছিল মাত্র ৪৬টি প্রতিষ্ঠান। আর ১৮৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ হাজার ৪৪৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি। ওসব বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে প্রায় ৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিডা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।- এফএনএস

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠায় ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তার বিনিময় হারও বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলারের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে গত অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ৭৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার কিনে নেয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জানুয়ারিতে ৩ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল। গত ২৪ জুন বিক্রি করেছিল ৫০ লাখ ডলার। আর জুনের পর গত ১৯ আগস্ট একসঙ্গে ৭ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয় ৫ কোটি ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুন শেষে দেশে আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫ শতাংশ। আর আগস্ট শেষে রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ব্যাংকের কাছেই পর্যাপ্ত ডলার নেই। ফলে ডলারের চাহিদা মেটাতে ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। গত এক মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাড়ে ৩৬ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। বিপরীতে বাজার থেকে প্রায় তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সূত্র আরো জানায়, বাজারে অতিরিক্ত তারল্য নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি সেপ্টেম্বরেও বাজার থেকে টাকা তুলবে। ৭, ১৪ ও ৩০ দিন মেয়াদি বিলের মাধ্যমে ওই টাকা তোলা হবে। গত মাসে বাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়। দীর্ঘ আড়াই বছর বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম বন্ধ থাকার পর আগস্টে বিলের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়। গত মাসে ৭, ১৪ ও ৩০ দিন মেয়াদি বিলের মাধ্যমে মোট ১৯ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা তোলা হয়। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট ৩০ দিন মেয়াদি বিলের মাধ্যমে তিন হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়। যেখানে সুদহার ছিল এক দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর আগস্টের আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম হয়। তখন নামমাত্র একটি ব্যাংক মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ সুদে ৭ দিনের জন্য ১৫০ কোটি টাকা রেখেছিল। তারপর থেকে নিলাম বন্ধ রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে দেশে আমদানি ও রফতানি বাড়লেও রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮১ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের এ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। ওই হিসাবে দেশে আগস্টে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে। আর জুন শেষে দেশে আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। আগস্টে ৩৩৮ কোটি ডলারের (২৮ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা) পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত জানান, বর্তমানে খাদ্যপণ্য আমদানি বেড়েছে। টিকা আনতেও টাকা লাগছে। তবে তাতে ভয়ের কারণ নেই, কারণ রফতানি বেড়েছে। দু’মাস ধরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমলেও রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। তাই ডলারের ওপর তেমন চাপ নেই।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris