রবিবার

১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ

পত্নীতলায় লেট ভ্যারাইটি জাতের আম চাষে দেলোয়ারের সফলতায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

Paris
Update : বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নওগাঁ থেকে প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলায় লেট ভ্যারাইটি জাতের গৌরমতি আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নামের একজন আমচাষী। তাঁর এই গৌরমতি জাতের আম চাষের সফলতা দেখে এলাকার অনেক চ্ষাী এই আমের বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জেলার পত্নীতলা উপজেলার হাড়পুর মৌজায় প্রায় ৬৫ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন একটি মিশ্র ফলের বাগান। মাল্টা, কমলা এবং পেয়ারার পাশাপাশি প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন লেট ভ্যারাইটির গৌরমতি জাতের আম বাগান। প্রায় সাড়ে ৬শ গাছের মধ্যে চলতি বছর প্রায় আড়াইশ গাছে আম উৎপাদিত হয়েছে।

জেলায় পর্যায়ক্রমে খিরসাপাত, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, নাগফজলী, আম্রপালী, আশ্বিনা ও বারি ফোর জাতের আম শেষ হয়েছে। যথন বাজারে কিংবা বাগানে আর কোন আম নেই তখন গৌরমতি জাতের আম বাগানে উত্তোলন শুরু করে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আমের মওসুম। এ বছর তাঁর এই বাগানে একশ মন গৌরমতি জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে যা ইতিমধ্যে বাজারজাত হতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে প্রতিমণ আম ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুরুতে ৭/৮ হাজার টাকা মণ এবং সর্বশেষ বর্তমানে প্রতি মণ আম ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারীভাবে গড়ে প্রতিমণ আম ৯ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রিমুল্য। সেই হিসেবে এ বছর কমপক্ষে ৯ লক্ষ টাকার আম বিক্রি কর করার প্রত্যশা করছেন এই চাষী।

এই আম সুস্বাদু, সুমিষ্ট এবং মওসুমের সবশেষ জাতের কারনে লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক আমচাষী এই আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে কেউ কেউ এই জাতের আমবাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। আমচাষী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, অনেকটা ঝুকি নিয়েই আমটি চাষ শুরু করেছিলাম। এই জাতে আম চাষে এতটা যে লাভবান হব তা আগে ভাবিনি। আমার দেখাদেখি অনেকেই এখন এই জাতের আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। যা দেখে আমার নিজেরও ভাল লাগছে। একই গ্রামের মোশারফ হোসেন নামে এক আম চাষী বলেন, আমটি মৌসুমের শেষে উত্তোলন হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশী ও ভাল দাম পাওয়া যায়।

সেজন্য দেলোয়ারের দেখাদেখি এবছর আমিও কিছু জমিতে এ জাতের আম চাষের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া অনেকেই এই আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেছেন কৃষি বিভাগ থেকে এই কৃষককে গৌরমতি জাতের আম চাষে উৎসাহিত করেছেন। পরবর্তীতে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামর্শ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি আরও বলেছেন যে কেউ গৌরমতি আমের বাগান গড়ে তুললে সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris