শুক্রবার

১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল রাসিক মেয়রের সাথে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ সিরাজগঞ্জে হেরোইন বহনের দায়ে গোদাগাড়ীর ২ যুবকের যাবজ্জীবন নিজের নামে কোনো প্রকল্প চান না প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী নগরীতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে : মেয়র গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আখ চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন দুর্গাপুরের কৃষকরা

Paris
Update : রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মোবারক হোসেন শিশির, দুর্গাপুর : রাজশাহী দুর্গাপুরে আখ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এই অঞ্চলের আখ চাষিরা। বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলার চাষিদের কাছে আখচাষ এখন অর্থকারী ফসল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এই উপজেলায় এক সময় আখ চাষের তেমন কোন আগ্রহ ছিলোনা না কৃষকদের। তবে বিগত ৫/৬ বছর ধরে চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া আখ চাষ করতে দেখা গেছে চাষিদের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় এই মৌসুমে ১৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আখ চাষ হয়েছে।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখের চাষ অধিক পরিমাণে লাভজনক হওয়ায় গত চার বছর ধরে দুর্গাপুর উপজেলাজুড়ে দিন দিন আখের চাষ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলার বাজার গুলোতে দেখা গেছে ব্যাপক হারে আখ বিক্রি। এই আখ হস্ত ও ইঞ্জিলচালিত মাড়াইকলে আখের রস ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি চিবিয়ে খাওয়া থেকেও পিছিয়ে নেই আখ প্রিয় মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিটি আখ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩৫ টাকায়।

দুর্গাপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামের আখ চাষি জনিত আলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে সার, বীজতলা তৈরি, রোপন, পরিচর্যা থেকে শুরু করে আখ কাটা পর্যন্ত খরচ হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত আখ বিক্রি করে পাওয়া যায় প্রায় ১ লক্ষ টাকার ওপরে। আখচাষী জনিত আলী পার্শ্বের উপজেলার আখচাষীদের চাষ পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আখচাষ শুরু করি। এরপর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পরামর্শ নিয়ে তার নিজস্ব কিছু জমি ও লিজকৃত প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। তিনি সরকরি সহায়তা পেলে আরো বেশি জমিতে আখ চাষ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, চিনি ও গুড় উৎপাদনে ব্যবহৃত আখ থেকে চিবিয়ে খাওয়া আখ অনেক নরম, রসালো ও অধিক চিনিযুক্ত। আমাদের দেশে ১৬টি জাতের চিবিয়ে খাওয়া আখের জাত রয়েছে। এর মধ্যে গ্যান্ডারি, বাবুলাল, ঈশ্বরদি ১৮, আচা ফাম, সিও-২০৮,অসৃত, কাজলা, মিশ্রিমালা, ও সিও-৫২৭ জাতগুলো অন্যতম। তবে এই উপজেলায় গ্যান্ডারি, বাবুলাল, ঈশ্বরদি ১৮ জাতের আখ চাষ করতে দেখা গেছে। কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, আখ চাষ লাভজনক ফসল হওয়ায় চাষিরা দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে আখ চাষের পাশাপাশি চাষিরা সাথী ফসল হিসেবে মুগ, মশুর বা সবজী চাষ করলে আরো বেশি লাভবান হবেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris