শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

হিন্দু আইন সংশোধনের দাবি সংস্কার পরিষদের

Paris
Update : শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইন কোনো ধর্মীয় আইন নয়। ইংরেজদের বানানো পরিত্যক্ত প্রথাভিত্তিক আইন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের নেতারা। একইসঙ্গে শিশু, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয়লিঙ্গের প্রতি বৈষম্যমূলক প্রথানির্ভর হিন্দু আইনের সংশোধন চেয়েছেন তারা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের সভাপতি ড. ময়না তালুকদার।

তিনি বলেন, বিদ্যমান হিন্দু আইন সনাতন ধর্মের এবং বৌদ্ধ ধর্মের মূল চেতনা থেকে বিচ্যূত ও বিকৃত। নারী অধিকার হরণ ও দুর্বল এবং আশ্রিত করে রাখা, লিঙ্গ বিবেচনায় মানুষের প্রতি বৈষম্য করা সনাতন ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মমতের বিরোধী। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম প্রথাভিত্তিক হিন্দু আইন চালু আছে উল্লেখ করে ড. ময়না তালুকদার বলেন, ভারত, নেপাল ও মরিশাসের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রথাভিত্তিক হিন্দু আইন চালু থাকলেও তা সংশোধন করে সবার সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ধর্মের কোনো আবশ্যিক শর্ত থাকলে হিন্দুপ্রধান দেশগুলোতে আইন সংশোধন করতো না।

ধর্মের মূলচেতনা, মানুষ হিসেবে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি বৈষম্য ও বঞ্চনার কারণে ধর্মান্তরিত হওয়াসহ হিন্দু আইন সংস্কারের নয়টি সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেন তিনি। লিখিত বক্তৃতাকালে সংগঠনের সভাপতি সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, সন্তানের ওপর বাবা-মায়ের সমান অভিভাবকত্ব ও অধিকার প্রদান, হিন্দু দত্তক আইন সংস্কার, বিবাহ বিচ্ছেদের বিধান পরিবর্তন, বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটক বলেন, কিছু মানুষ হয়তো এসবের সংস্কার না চেয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করছে।

কিন্তু ন্যায্য কথা একজনও যদি বলেন, সবাই তাকে সমর্থন করা উচিত। বাস্তবতার সঙ্গে যেসব আইনের কোনো মিল নেই, তা সংশোধনে সবাই এক হওয়া ও সমর্থন দেয়া উচিত। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের সহ-সভাপতি রিনা রায়, সুভাষ সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও যুগ্ম সম্পাদক ড. নীরু বড়ুয়া, রত্না দাস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংগঠনের নির্বাহী সদস্য রাকেশ আচার্য, নির্বাহী সদস্য বাবলা সেন গুপ্ত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাণেশ রায় প্রমুখ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris