শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগান সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক মহড়া গোলাগুলিতে পাকিস্তানের ২ সেনা নিহত

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : আফগানিস্তান সীমান্তে ফের সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এতে অংশ নিয়েছে প্রায় পাঁচশ সৈন্য। আফগান সীমান্তের কাছাকাছি ও তাজিকিস্তানের পাহাড়ি এলাকায় এ মহড়া চালানো হয়। সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল। মস্কোর সঙ্গে মিলে এর আগেও দুই দফা সামরিক মহড়া চালায় তারা। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রত্যাহারের শেষ দিন কাল। এর মাঝে কাবুলে দুই দিন ধরে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে।

কাবুল বিমানবন্দরে সোমবার সকালে আবারও রকেট হামলা চালানো হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সন্ত্রাসীদের হামলা প্রতিহত করতে তারা পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এদিকে, কাবুলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের লক্ষ্য করে এর আগে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, কাবুলে একটি আবাসিক এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সিএনএনের খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু ও একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। কাবুলে চরম উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার সামরিক মহড়ার খবর পাওয়া গেল।

এদিকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় পাকিস্তানের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান সেনবাহিনীর পক্ষ থেকে রোববার জানানো হয়, আফগানিস্তানের সীমান্তের ভেতর থেকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই সেনা নিহত হন। খবর আনাদোলু এজেন্সির। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বাজাউর জেলার সীমান্তে আফগানিস্তানের অভ্যন্তর থেকে গুলি ছোঁড়া হলে পাল্টা গুলি চালানো হয়। এ সময় পাকিস্তানের দুই সেনা সদস্য জামাল ও আয়াজ নিহত হন। সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় দুই থেকে তিন জন হামলাকারী নিহত হয় এবং ৩ থেকে ৪ জন আহত হয় বলে দাবি তাদের।

সীমান্তে এমন সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটল যখন এর আগে তালেবান জানায়, আফগানিস্তানের মাটি অন্যান্যের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না সন্ত্রাস দমনের নামে। ১৫ আগস্ট কাবুল দখলে নেয় তালেবান। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে থাকে। তালেবানের নতুন সরকার আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। এর মাঝে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে দেশটির বহু বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক বহু মানুষ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris