শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

দেশের ভূতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

Paris
Update : বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : গত দুই বছরে প্রায় সাড়ে ৪০০ পত্রিকা একটি কপিও ডিএফপিতে জমা দেয়নি। এসব পত্রিকাগুলো ভূতুড়ে পত্রিকা। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই ১০০টি এমন পত্রিকার ডিক্লেরেশন বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। হাছান মাহমুদ বলেন, ভূতুড়ে পত্রিকাগুলো সাংবাদিকদের কোনো বেতন দেয় না। তারা আইডি কার্ড বিতরণ করে। এসব সাংবাদিকরা চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। যার কারণে সাংবাদিক সমাজের ওপর বদনাম হয়।

তিনি বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম এখন বাস্তবত। যে কারণে সরকার অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধনের কাজ করছে। ইতোমধ্যেই পাঁচ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে খোঁজ-খবর নিয়ে আমরা মাত্র ১৫০টি অনলাইনকে নিবন্ধন দিয়েছি। একসঙ্গে যেসব অনলাইন ভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকশালের সময়ে চারটি পত্রিকা বাদে অন্যান্য পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, সে সময় কোনো সাংবাদিক বেকার হয়নি। তাদের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। যারা চাকরি পাননি, তাদের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে টাকা দেওয়া হতো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকবান্ধব নেতা ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুকেও সাংবাদিকরা অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছড়িয়ে দেওয়া খুব সহজ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সাংবাদিকদের জন্য যা করেছেন তা অন্য কেউ করেননি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে হাজার হাজার সাংবাদিক উপকৃত হচ্ছেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এখন সাংবাদিকদের ভরস্র স্থানে পরিণত হয়েছে। করোনাকালে এখান থেকে যে সহযোগিতা করা হয়েছে, তা অন্য কোনো দেশের সাংবাদিকদের করা হয়নি। এখন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের রাষ্ট্রের বিকাশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের বিকাশের স্বার্থে গণমাধ্যমের বিকাশ যেমন প্রয়োজন।

তেমনি সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার বিকাশ হওয়া প্রয়োজন। সাংবাদিকদের প্রচুর সমিতি হয়েছে। এটা নিয়ে সাংবাদিক সমাজকে ভাবতে হবে। এটা রাষ্ট্রের কাজ না, সাংবাদিক নেতারা এ বিষয়ে ভাববেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris