মঙ্গলবার

২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চারঘাটে বেড়েছে পেঁপের আবাদ

Paris
Update : শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় চারঘাটের কৃষকদের মধ্যে পেঁপে চাষে আগ্রহ বাড়ছে। অনেকেই ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ ছেড়ে দিয়ে পেঁপে চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। চারঘাটে চাষ করা পেঁপে স্থানীয়দের চাহিদা মেটানোর পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। মূলত পেঁপে চাষের জন্য দোআঁশ মাটি বেশি উপযোগী। তাই উপজেলার সরদহ, নিমপাড়া ও শলুয়া ইউনিয়নে পেঁপে চাষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সারা বছর ধরে পেঁপে বিক্রি হয়। এ কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা বাড়ির আশপাশে পতিত জমিতেও পেঁপের চারা রোপণ করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের তার বাড়ি সংলগ্ন ভিটে জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করতেন। এ বছর তিনি ওই জমিতে ৩৮০টি পেঁপের চারা রোপণ করেছেন। এর মধ্যে ৮০টি চারা মারা গেছে। আব্দুল কাদের জানান, গত চৈত্র মাসে জমিতে চারা রোপণ করেছেন তিনি। তিন মাস পর থেকে পেঁপে ধরতে শুরু করেছে। ৬ মাস পেঁপে বিক্রি করবেন তিনি। তিনি আরও জানান, ৬ মাসে তার এক বিঘা জমিতে খরচ হবে ২৫ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে ৮০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করবেন তিনি।

একই এলাকার রেজাউল করিম দেড় বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে গত এক বছরে ১ লাখ টাকা আয় করেছেন। ওই এক বছরে জমিতে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, পেঁপে সাধারণত ১ বছরের ফসল হলেও পরের বছরও গাছ রাখা যায়। পরের বছর তেমন খরচ হয় না। তবে ফলন কমে যায় অর্ধেকে।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যারা ঢাকায় ট্রাকে পেঁপে পাঠান তারা পাইকারি হিসেবে ১ মণ পেঁপে ৪৮০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দরে কিনছেন। উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় গ্রামের মানুষ বাড়ির উঠানেও পেঁপের চারা রোপণ করেন। এছাড়া পতিত জমিতেই পেঁপে চাষ করা হয়। দিন দিন পেঁপে চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris