রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

ছোট উদ্যোক্তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো

Paris
Update : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জামানতবিহীন ঋণ দিচ্ছে। ওসব প্রতিষ্ঠান দেশের কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি জামানত ছাড়া ঋণ বিতরণ করেছে। যার সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। কারণ চলমান করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা। তাদের সম্পদ সীমিত, ছোট ব্যবসা, পুঁজি খুব বেশি নয়। সেজন্য ওসব প্রতিষ্ঠান নানা শর্ত আর জামানত দিয়ে সব সময় ঋণ নিতে পারে না। কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ছোট উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। সেজন্যই তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া জরুর।

কারণ ওসব ছোট প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেজন্যই ওই খাতে জামানতবিহীন ঋণ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতে ৬ হাজার ২৫৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার জামানতবিহীন ঋণ দিয়েছে। ওসব ঋণ পেয়েছে ৫৬ হাজার ২৭১ ছোট উদ্যোক্তা। তার মধ্যে ব্যাংকগুলো জামানত ছাড়া ঋণ বিতরণ করেছে ৫ হাজার ৪০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। যার সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৩০৬ জন। বাকি ঋণ দিয়েছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

সূত্র জানায়, সরকারি খাতের পাঁচ ব্যাংক চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৩৭ জন ছোট উদ্যোক্তাকে বিনা জামানতে ৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। আর বেসরকারি খাতের ৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩১ হাজার ৩১২ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার মাঝে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। আর শরিয়াহভিত্তিক ৮টি ইসলামি ব্যাংক ২ হাজার ৯৪৮ জন ছোট উদ্যোক্তাকে ঋণ দিয়েছে ৩৯৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়েছে ১১ হাজার ৮৫৫ জন ছোট উদ্যোক্তাকে ২৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। তাছাড়া নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৫ হাজার ৯৬৫ জন ছোট উদ্যোক্তাকে জামানতবিহীন ঋণ দিয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সিএমএসএমই ঋণ বিতরণে খরচ বেশি, আয় কম, জামানতের অভাবসহ বিভিন্ন অজুহাতে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দিতে অনীহা দেখায়। ওসব বিবেচনায় ঋণ বিতরণে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণখেলাপি করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি কমিয়ে দেয়া হয়েছে খেলাপি ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণের হার।

এদিকে ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ছোটরা কখনো ঋণখেলাপি হন না। আর তাদের ঋণ দেয়ার অর্থই হলো উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। দেশকে এগিয়ে নিয়ে সিএমএসএমই বা ছোট উদ্যোক্তার বিকল্প নেই। দেশের জন্য যার যা আছে তা দিয়েই তারা নীরবে অবদান রেখে যাচ্ছে। সেজন্য সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দিলে ব্যাংক ঠকবে না বরং জিতবে। একইসঙ্গে ঘুরে দাঁড়াবে পুরো দেশ।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম জানান, সিএমএসএমই খাতে জামানতবিহীন ঋণ দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনা রয়েছে। ওই আলোকে লক্ষ্য ঠিক করে ঋণ দেয়া হচ্ছে। ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণের আদায় ভালো। আর দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিও ওই ছোট উদ্যোক্তারা। তাদের সহায়তায় চলমান ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ এখন টাকার অভাব নেই। শুধু ভালো উদ্যোক্তা প্রয়োজন। উদ্যোক্তারা যদি ঠিকভাবে টাকা ফেরত দেয় তাহলে ভবিষ্যতে আরো বেশি পাবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris