রবিবার

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়

কদর বেড়েছে সিমেন্টের চাড়ির

Paris
Update : রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

শামীম রেজা, মচমইল : রাজশাহীর বাগমারায় রয়েছে হাজারো দীঘি আর পুকুর। সেই সকল দীঘি আর পুকুরে চাষ করা হচ্ছে মাছ। মাছ চাষ করায় প্রতিনিয়ত দীঘি ও পুকুরে দিতে হচ্ছে খাদ্য। মূলত পানিতে নেমে মাছের খাদ্য দেয়া সম্ভব হয় না। সে জন্য দরকার হয় নৌকার। দিন দিন বাড়ছে কাঠের দাম। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরী। অনেক টাকা খরচ করে কাঠের নৌকা তৈরি করলেও বেশি দিন টিকেনা। অনেক দিন পানিতে থাকার কারনে পচে নষ্ট হয়ে যায়।

বর্তমানে নৌকার পরিবর্তে শুরু হয়েছে সিমেন্টের চাড়ি বা নৌকা ব্যবহারের প্রচলন। দাম কম আর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় দিন দিন কদর বাড়ছে সিমেন্টের এ সকল চাড়ি আর নৌকার। মাছ চাষিরা এখন নৌকার পরিবর্তে দীঘি ও পুকুরে ব্যবহার করছেন সিমেন্টের চাড়ি। প্রতিটি চারির মূল্য আকার ভেদে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। ছোট আকারের একটি চাড়িতে ৫০ কেজির ৩/৪ টি বস্তা সহ ২ জন মানুষ এক সঙ্গে চড়ে পুকুরে মাছের খাদ্য ছিটিয়ে দিতে পারে।

একেকটি চাড়ি পুকুরে ৬-৭ বছর ব্যবহার করতে পারবেন। গত ১ বছর থেকে সিমেন্টের চাড়ি এবং ডুঙ্গা তৈরি কারাখানা করছেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম। তার নিজ গ্রামে এই চারি তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে। সেখান থেকে গত ১ বছরে শতাধিক চাড়ি বিক্রি করেছেন তিনি। চাড়ি তৈরিতে প্রয়োজন হয় সিমিন্টে, বালি, ভালো মানের ইটের গুড়িখোয়া এবং জিআই তার। তার এই কারখানায় তিনজন কারিগর এগুলো তৈরির কাজ করেন।

একান্ত ব্যক্তিগত কাজে এ চাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাছ চাষ পুকুরে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ে ছোট একটি নৌকার দাম দিয়ে দুই থেকে তিনটি চাড়ি কেনা যাবে। বালানগর গ্রামের শাহাদত হোসেন, ওমর আলী, হেলাল উদ্দীন, গোপালপুর গ্রামের আবু বাক্কার সহ অনেকে মাছের খাদ্য দিতে এই চাড়ি স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করছেন। আশরাফুল ইসলাম জানান, অর্ডার পেলে চাহিদা মত সরবরাহ করতে পারবেন সিমেন্টের চাড়ি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris