আককাস আলী, নওগাঁ : নওগাঁর মহাদেবপুরে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে গোপনে প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদরের জাহাঙ্গীরপুর ইসলামীয়া বহুমুখী আলিম মাদ্রাসায়। এ মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা খালি করতে নিলামের মাধ্যমে পুরাতন ভবনের একাংশ ও ৭টি গাছ বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, মেহগনি, কদম ও ঝাউগাছসহ ৭টি গাছ নিলামের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৭শ’ টাকায় বিক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে নিলাম গ্রহিতার সাথে যোগসাজস করে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সরদার মোঃ আজিজুল হক প্রতিষ্ঠানের আরো ৪টি আম গাছ, ১টি নিমগাছ ও কাঁঠালগাছসহ ৭টি গাছ দিয়ে মোট ১৪টি গাছ স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীর নিকট ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন।
এ ব্যাপারে কাঠ ব্যবসায়ী নয়ন বলেন, তিনি ওই মাদ্রাসা থেকে ৪৩ হাজার টাকায় ১৪টি গাছ ক্রয় করে গতকাল শনিবার পর্যন্ত সবগুলো গাছ কেটে নিয়েছেন। মাদ্রাসা সুপার সরদার মোঃ আজিজুল হকের নিকট জানতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ১০টি গাছ নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে। পরে স্বীকার করেন, ৭টি গাছ নিলামের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৭শ’ টাকায় বিক্রি করা হয় কিন্তু নিলাম গ্রহিতার লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনি গাছগুলো কাটছিলেন না।
তাই কমিটির সভাপতিসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিক্রমে আম ও নিমগাছসহ অতিরিক্ত গাছগুলো নিলাম গ্রহিতাকে দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার সভাপতি ও বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার মোবাইলে জানান, নিলামের মাধ্যমে ৭টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে। অতিরিক্ত গাছ বিক্রির কথা তার জানা নেই। নিলাম কমিটির সদস্য ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিষ্ঠানের গাছ এভাবে কাউকে দিয়ে দেয়ার কোন অধিকার কারও নেই, আর অনুমতির তো প্রশ্নই উঠেনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ওই মাদ্রাসার ৭টি গাছ নিলামের মাধ্যমে বিক্রির ঘটনা তিনি জানলেও অতিরিক্ত গাছ বিক্রির ঘটনা তিনি জানেন না, কেউ এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।