মঙ্গলবার

২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় কচু চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১

শামীম রেজা, মচমইল : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকার কৃষকরা শুরু করেছেন কচুর আবাদ। দাম ভাল থাকায় এবার লাভবানও হচ্ছেন কচু চাষীরা। উৎপাদন খরচের তুলনায় কৃষকরা কচু বিক্রি করে অধিক লাভবান হচ্ছে। তবে কচু চাষে পরিশ্রম বেশী হলেও বাজারদর ভাল থাকায় আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। লতি কচু, স্থানীয় ভাষায় খাবার কচু বা কুলি কচু এবং মুখি কচু বলে উভয়েরই কম বেশী চাষ করেছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা এলাকায় ২২০ হেক্টর জমিতে মুখি কচু, ১০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ভাষায় খাবার কচু এবং ১ হেক্টর জমিতে লতি কচুর চাষ করা হয়েছে। আগাম চাষ করায় অ বেশী দরে বিক্রয় করছেন কচু। বাগমারায় বাণিজ্যিক ভাবে কচুর চাষবৃদ্ধি পেয়েছে। দাম ভাল পাওয়ায় কচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার হাট-বাজারে আগাম উৎপাদন করা কচু প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শিকদারী, বীরকুৎসা, ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ, মাদারীগঞ্জ, কালিগঞ্জ, মচমইল, হাট-গাঙ্গোপাড়া সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে আগাম চাষ করা বিভিন্ন ধরনের কচু বিক্রি হচ্ছে। জমি থেকে এখনো সব কচু উঠানো শুরু করেনি কৃষকরা। দাম বেশি হওয়ায় কিছু কৃষক আগেই জমি থেকে কচু তুলছেন। অল্প দিনের মধ্যেই পুরোদমে কচু উঠানো শুরু হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। অন্যান্য সবজি তরকারীর চেয়ে কচুর কদর অনেক বেড়ে যাওয়ায় এর চাষাবাদ বেড়েছে।

উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের চকমহব্বতপুর গ্রামের কচুচাষী জহুরুল ইসলাম এবং ইদ্রিস আলী বলেন, বাজারে লতি কচুর অনেক চাহিদা। কয়েক বছর ধরে তারা কচুর চাষ করে আসছেন বলে জানিয়েছেন। হামিরকুৎসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক জানান, অধিক লাভের আশায় এ মৌসূমে আগাম কচু চাষ করা হয়েছে। আগাম কচু তিনি ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে বিক্রিয় শুরু করেছেন। ৩৫-৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

লতি কচু ও অন্যান্য কচুর দাম প্রায় একই বলে জানা গেছে। এবছর বাজার দর বেশী হওয়ায় কচুতে লাভবান হওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন। শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কচু চাষী মুঞ্জুর রহমান ও শ্রী অভিরাম বলেন, অধিক লাভের আশায় কচু চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য তরকারীর তুলনায় কচু চাষে সার খরচ অনেক কম লাগে। জৈব সার পরিমান মত দিলেই চলে। রাসায়নিক সারের পরিমান কম দিতে হয় বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

কৃষকরাও সার কম প্রয়োগ করে কচুচাষ করছেন। তবে জমির চাহিদা অনুযায়ী সেচ দিয়ে কম খরচে বেশী উৎপাদন করা যায়। কৃষকরা জানান, কম পরিশ্রমেই কচুর চাষাবাদ করা সম্ভব। গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, ভাল তরকারী হিসেবে কচু বাজারে কিনতে অনেক দাম হওয়ায় নিজের জমিতে লতি কচু চাষ করে বাজার জাত আরম্ভ করেছি।

ভাল দাম পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন প্রকার কচু চাষ করছেন। দাম লাভ হওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য তরকারীর মত কচুর চাষা বাড়িয়েছেন। পরিশ্রম একটু বেশী হলেও আর্থিক ভাবে লাভবান হন কৃষকরা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris