সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়ামতপুরে বেতন ও বোনাস পাচ্ছেননা প্রাইমারির শিক্ষকরা

Paris
Update : শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি : ঈদের বাকী আর মাত্র দু’সপ্তাহ। অথচ এখনও বেতন-বোনাস পাননি নিয়ামতপুরের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ নিয়ে হিসাবরক্ষন অফিসে সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডের চলমান ঢিলেঢালা কার্যক্রমকেই দুষছেন তারা। শিক্ষকরা জানান, দৌড়গোড়ায় কোরবাণীর ঈদ। বর্তমান করোনাকালীন সময়ে কোরবাণী পশুর দাম এখন পর্যন্ত সহনীয় মাত্রায় থাকলেও শুধু বেতন-বোনাস না পাওয়ার কারনে পশু কিনতে পারছেননা তারা। আগামী সপ্তাহেও বেতন-বোনাস হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। অথচ ঈদেরে পূর্বে বেতন-বোনাস না পাওয়ায় ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় এখন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।

জানা যায়, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৬ শতাধিক সহকারী শিক্ষক তাদের ১৩ তম গ্রেড প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিক্ষা অফিসে জমা দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা অফিস সেই সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে হিসাবরক্ষন অফিসে পাঠান। কিন্তু শিক্ষকদের ফাইল জমার প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চললেও শুধু হিসাবরক্ষন অফিসের ঢিলেঢালার কারনে এখনও বেতন-বোনাস পাননি শিক্ষকরা।

আরো জানা যায়, ১৩ তম গ্রেেেডর জন্য শুধু সহকারী শিক্ষকরা জড়িত থাকলেও তাদের কারনেই বেতন-বোনাস পাচ্ছেননা প্রধান শিক্ষরাও। এ নিয়েও চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের মাঝে। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, দেশের সকল উপজেলায় ১৩ তম গ্রেডের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও হিসাবরক্ষন অফিসের গড়িমসির কারনে পিছিয়ে রয়েছে নিয়ামতপুর। সহকারী শিক্ষকদের অনুরোধে ১৩ তম গ্রেডের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন-বোনাস বিলও করতে পারছেননা উপজেলা শিক্ষা অফিস।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক জানান, ১৩ তম গ্রেডে উর্নিত্ত হতে সকল শিক্ষক মিলে শিক্ষা অফিসাররকে অনুরোধ করেন এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে বেতন বোনাসের জন্য। পরে হিসাবরক্ষন অফিসেও যোগাযোগ করেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা। এরপর শুরু হয় গ্রেডেশনের কাজ। কিন্তু প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চললেও আজো কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি হিসাব রক্ষন অফিস। অডিটর মোনায়েম হোসেনই মনে কওে নিজেই উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা। তাকে খুশি করতে হবে তাহলে দ্রুত কাজ হবে এক পর্য়ায়ে বলে বসে তিনি।

তার কারণেই হিসাবরক্ষন অফিসে বেশী দুর্নীতি বলেন ওই শিক্ষক। তাই ঈদের পূর্বে বেতন-বোনাস না পেয়ে ঈদ প্রস্তুতিসহ কোরবানীর পশু কেনা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিয়ামতপুর উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আবুল কালাম আহসান জানান, ঢিলেঢালায় বিল পাচ্ছেননা কথাটি ঠিক না। করোনা পরিস্থিতিতেও তার অফিস সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডের কাজ করছেন। ইন্টারনেট স্পীড স্লোর কারনেও কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও তিনি মনে করেন, আগামী সপ্তাহেই ১৩ তম গ্রেডের কাজ সম্পন্ন হবে এবং শিক্ষকরাও বেতন-বোনাস পেয়ে যাবেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris