বৃহস্পতিবার

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী নগরীতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে : মেয়র গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর লাল গামছা দেখে থামল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ভারত-মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১

এফএনএস : দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় ওইসব দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে ব্যবহৃত হওয়ায় দেশে অপরাধ ও নাশকতার আশঙ্কা থেকে এমন আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি, মাদক বেচাকেনা, অর্থপাচার, মানবপাচার এমনকি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্ক।

বিশেষ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলে মোবাইল নেটওয়ার্কের অপব্যবহারের বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। এমনকি এই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা জনসভা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্য করা যায়, ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ৮-৯ লাখই বাংলাদেশ মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক। তার মধ্যে আরও ৩-৪ লাখ মিয়ানমারের মোবাইল কোম্পানি এমটিপির।

আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের দাবি জানালে সরকার ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয়। ঠিক এরপর থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করে। গ্রাহকদের দ্রুত সেবা ও ব্যবসার স্বার্থে মিয়ানমারে মোবাইল অপারেটর নাফ নদীর পাড়ে টাওয়ার বসায়।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমরা আলোচনায় আনলে এমনকি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা বিবৃতি দিলে দেশের জাতীয় অনলাইন ও জাতীয় পত্রপত্রিকা এমনকি বিবিসি-তেও সেই বক্তব্য প্রচারিত হয়। বর্তমান সময়ে টেকনাফের স্থানীয় নাগরিকরা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে বিড়ম্বনায় পড়লেও রোহিঙ্গা নাগরিকরা ঠিক ওই থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

একইভাবে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে রিলায়েন্স জিও মোবাইল নেটওয়ার্ক এ টাওয়ার থাকায় সীমান্ত এলাকার নাগরিকরা সহজেই অন্য দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থপাচার, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা তথ্যপাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে দুই দেশের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কমিশনের আইন অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris