মঙ্গলবার

২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার প্রভাবে পোরশায় আমের বাজারে ধস

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১
SAMSUNG DIGITAL CAMERA

পোরশা থেকে প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের প্রভাবে নওগাঁর পোরশায় আমের দামে ধস নেমেছে। আম বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। নেই বাইরের জেলা থেকে আগত কোন ক্রেতা। ক্রেতা সংকটে চলতি ভরা আম মৌসুমে আমের দাম নেই। লোকসানের মুখে পড়েছেন আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিন উপজেলার সারাইগাছী, নোচনাহার, পোরশা সদর, তেঁতুলিয়া আমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে হিমসাগর(খিরসাপাত), ল্যাংড়া, ফজলি ও আমরুপালী জাতের আম বাজারে কেনা-বেচা চলছে।

বর্তমান বাজারে এক মোন হিমসাগর বা খিরসাপাত আম বিক্রি হচ্ছে ১২শ টাকায়, ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬শ থেকে ৯শ টাকা পর্যন্ত। ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা ও আমরুপালী বিক্রি হচ্ছে ১হাজার থেকে ১৩শ টাকা পর্যন্ত। অথচ গত বছর এ সময়ে হিমসাগর বা খিরসাপাত আম বিক্রি হয়েছে ৩হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত, ল্যাংড়া বিক্রি হয়েছে ৩হাজার টাকা পর্যন্ত, ফজলি বিক্রি হয়েছে ২২শ টাকা পর্যন্ত, আমরুপালী বিক্রি হয়েছে ৩হাজার থেকে শুরু করে ৬হাজার টাকা পর্যন্ত।

এবছর বাজারে আমের ক্রেতা কম থাকায়, বিশেষ করে বাইরের বিভিন্ন জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউনের কারনে বাইরের জেলা থেকে কোন ক্রেতা আসতে পারেননি। আর বাইরের কোন ক্রেতা না থাকায় এবছর আমের দাম একেবারেই কম। আমের দাম না পাওয়ায় চাষী ও ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন।

উপজেলার সারাইগাছী বাজারের আম ব্যবসায়ী সজল মিয়া জানান, আমের ভরা মৌসুমে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি স্বতঃস্ফূর্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের প্রভাবে আমের বাজারে শুধু ক্রেতা কমই নয়, ব্যাপাক ভাবে কমেছে আমের দামও। আম পেকে গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা গাছে বেশি দাম দিয়ে আম কিনে, কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও তিনি জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাইগাছী বাজারে বিক্রি করতে আসা আম চাষী সবুজ জানান, করোনার মধ্যেও হাটে প্রচুর আম উঠছে। সেই তুলনায় আমের ক্রেতা কম। আম বেশি, ক্রেতা কম। তাই আড়ৎদাররা আমের দাম দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কম দামে আম বিক্রি করতে হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris