শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকীর মুখে ৩ বাঁধ

হারিয়ে গেছে বাদুড় সেই মজা আর নেই

Paris
Update : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের : আগে আম পেকে থাকতো গাছে গাছে, বাদুড় খেত গাছের পাকা আম। আর পাকা আম গাছ থেকে পড়ে গেলে শিয়াল-কুকুর একসাথে পাশাপাশি মজা করে খেত। মধূ মাসে মনে হতো শিয়াল আর কুকুরের মধ্যে কোনই বিরোধ নেই। গাছে একটা আম পাকলেই ধরে নেওয়া হয় আম পাড়ার সময় হয়ে গেছে। তখনই আম ব্যবসায়ীরা তা পেড়ে বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করতে ব্যস্থতা বেড়ে যায়। কিন্তু এখন আর বটগাছে বা বাঁশ ঝাড়ে বাদুড় ঝুলে না।

আম গাছ তলায় শিয়াল কুকুরের সহ-অবস্থানও দেখা যায়না। এসবই ঘটতো বড় বড় আম বাগানে রাতের সময়। এখন হারিয়ে গেছে সেই সব মধুর দিনগুলি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থেকে হারিয়ে গেছে বাদুড়। আজকাল আর দেখাই যায়না বাদুড়। গ্রামের এক বয়স্ক মানুষ মুক্তারুল ইসলাম জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বাদুড়ের ভুমিকা আছে অনেক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মোঃ সুমন আলী জানান, বাদুর থেকে নিপা ভাইরাস ও করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে এসেছে তাই বাদুর না থাকায় ভাল।

এক সমাজসেবক মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, আমসহ বিভিন্ন ফলে কীটনাশক স্প্রে করায় সে সব ফল খেয়ে ধীরে ধীরে মরে গেছে বাদুড়। ফলে হারিয়ে গেছে এ সব প্রানী। মোঃ হায়াত উল্লাহ জানান, শীত মৌসুমে খেজুর গাছে গাছী রস লাগালে গাছে গাছে বাদুড়ের ডানা ঝাপটানো অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়তো। বাদুড় বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আর সে সব দৃশ্য উপভোগ করতে পাওয়া যায় না।

ভোলাহাটের বিনোদন প্রেমীক মোঃ আজিজুল হক জানান, আম পাকার সময়টা জানিয়ে দিত বাদুড়। আম পাকলে বাদুড় খেয়ে গাছের নিচে ফেলে দিতো। বাদুড়ের খেয়ে ফেলা আম খেত ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। এদিকে লিচু গাছে বাদুড় থেকে রক্ষা পেতে জাল দিয়ে ঘেরে ঘন্টা বাজানো হতো। আজ বাদুড় না থাকায় সেদিন শেষ হয়ে গেছে। এখন ভোলাহাটে বরই চাষ করছে। বরই চাষিরা তাদের জমির চারেদিক জাল দিয়ে ঘিরে রাখায় জালে আঁটকে মারা গেছে অনেক বাদুড়।

এদিকে ভোলাহাট উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, ভোলাহাটের বিশাল এলাকা জুড়ে আম বাগান রয়েছে। আম বাগানের আমে কীটনাশক ব্যবহার করায় খাদ্য ও বাসস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে বাদুড় বিলুপ্ত হয়েছে। বাদুড়ের পূর্বের অবস্থান ফিরে পেতে হলে আমসহ বিভিন্ন ফলে কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করলে খাদ্য ও বাসস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা হবে। তখন বাদুড়ের সেই পূর্বের ঐতিহ্য ফিরে আসবে। বাদুড়ের কলোকাকুলি ফিরে আসবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris