রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

নতুন অর্থবছরে খাদ্য খাতে ভর্তুকি কমছে

Paris
Update : বুধবার, ২ জুন, ২০২১

এফএনএস : আসন্ন বাজেটে খাদ্য খাতে ভর্তুকি কমানো হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ থাকছে ১৬ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। ওই অর্থ আমদানি ও অভ্যন্তরীণভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ এবং ভর্তুকিতে ব্যয় করা হবে। তবে বাজেটে সার্বিক বরাদ্দ বাড়লেও খাদ্য খাতে ভর্তুকি কমানো হচ্ছে। কারণ ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ থাকছে ৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। আর চলতি বছর ওই খাতে বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। ফলে খাদ্য ভর্তুকি খাতে আগামী বাজেটে ৪০১ কোটি টাকা কমছে।

সাধারণত সরকার বেশি মূল্যে খাদ্যশস্য কিনে দরিদ্র মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকে। তাতে যে লোকসান হয় সেটিই ভর্তুকি হিসাবে গণনা করা হয়। তবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় নতুন অর্থবছরে খাদ্যশস্য খাতে পৌনে ৩শ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে। আর সংগৃহকৃত খাদ্যশস্যের বড় একটি অংশই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হবে। আগামী বাজেটে খাদ্য সংগ্রহ, পরিচালনা ও উন্নয়ন ব্যয়সহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট বরাদ্দ থাকছে ১৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৬৭৯ কোটি টাকা এবং পরিচালনা ব্যয় ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। অর্থ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আগামী বছর চালু করা হচ্ছে না ১০ টাকা মূল্যের খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচি। ফলে ভর্তুকি খাতে একটি বড় সাশ্রয় হবে। ওই কারণে আগামীতে খাদ্যশস্যের ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ কমছে। সরকার বর্তমানে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা পাওয়ার যে হটলাইনটি চালু রেখেছে তা প্রশংসার দাবিদার। তাতে অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে। আসন্ন বাজেটে ৮টি অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্প ও বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ’ করা। সেজন্য খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

চলমান করোনাভাইরাসে মূলত নিম্ন আয়ের মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ মহামারি আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে। ফলে তাদের ত্রাণ ও স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য প্রয়োজন হবে। সেদিক বিবেচনা করে খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচি দরিদ্রদের সহায়তার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখবে। সূত্র জানায়, দেশের খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা এবং ওই লক্ষ্যে আমদানি ও অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী অর্থবছরেও প্রায় ৩৩ লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২৬ লাখ টন চাল এবং বাকি ৭ লাখ টন গম সংগ্রহ করা হবে।

আর চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ লাখ ৫৫ হাজার টন। তাছাড়া চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ওএমএস কর্মসূচি বড় ভূমিকা রাখে। সেজন্য আগামী বছর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রায় ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য খোলা বাজারে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। পাশাপাশি কাবিখা (ত্রাণ), কাবিখা (ভূমি), কাবিখা (আশ্রয়ণ প্রকল্প), ভিজিএফ (ত্রাণ) ভিজিএফ (মৎস্য), ভিজিডি, জিআর, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও স্কুল ফিডিং ও অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমেও খাদ্য বিতরণ করা হবে।

সূত্র আরো জানায়, খাদ্যশস্য সংগ্রহের একটি অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা হবে। ফলে আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে খাদ্যশস্য আমদানি খাতে ৩০২ কোটি টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে। ওই ঋণ পরিশোধ করা হবে। ফলে সেটিকে ব্যয় ধরা হয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে ৩ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকার খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে।

তাছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে যে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে সেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। তাছাড়া আগামী বছরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে আধুনিক খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগারে ব্যয় করা হবে ৩৮৯ কোটি ৮৫ হাজার টাকা। আর সারা দেশের পুরনো গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ খাতে ব্যয় ধরা হয় ১৯০ কোটি টাকা। তাছাড়া খাদ্যশস্য পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ঘন্টায় ৪০০ কেজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রিমিক্স কার্নেল মেশিন ও ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

সেক্ষেত্রে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবারত দরিদ্র, অনগ্রসর, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সরবরাহ করা হবে হাউজ হোল্ড সাইলো। সেক্ষেত্রে ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris