বুধবার

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর লাল গামছা দেখে থামল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

মাটি খুঁড়ে শনাক্ত হলো মরদেহ আরেক আসামি ধরলো পিবিআই

Paris
Update : সোমবার, ৩১ মে, ২০২১

এফএনএস : ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিখোঁজ হন রাজধানীর রুপনগর থানার দুয়ারীপাড়া এলাকার গ্রিল ওয়ার্কশপ কর্মচারী আবুল কালাম (২৩)। মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামি মো. শামীম মৃধা ও মো. স্বাধীন মীরকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর শামীমের ভাড়া বাসার মেঝের মাটি খুঁড়ে ভিকটিম আবুল কালামের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আবুল কালামের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। আসামি স্বাধীন মীর আদালতে আবুল কালাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ তদন্তে আসামি আকবর ও সুমনের প্রকৃত নাম ঠিকানা শনাক্ত করতে না পেরে গ্রেফতার শামীম মৃধা ও স্বাধীন মীরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বাদীর না-রাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামি আকবরকে (২৪) গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গতকাল রোববার দুপুরে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় ২৮ মে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম আকবরকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, আবুল কালামকে অপহরণ এবং খুনের অভিযোগে ভিকটিমের ভাই মো. আবুল বাশার মিজি (৩৬) রাজধানীর রুপনগর থানায় ২০১৭ সালে মামলাটি করেন।

ডিবি পুলিশের তদন্তকালে মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. শামীম মৃধা ও মো. স্বাধীন মীরকে গ্রেফতার হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শামীম ও স্বাধীনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর শামীমের ভাড়া বাসার মেঝের মাটি খুঁড়ে ভিকটিম মো. আবুল কালামের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আবুল কালামের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়।

স্বাধীন মীর আদালতে আবুল কালাম হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ তদন্তে আসামি আকবর ও সুমনের প্রকৃত নাম ঠিকানা শনাক্ত করতে না পেরে গ্রেফতার শামীম মৃধা ও স্বাধীন মীরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বাদীর না-রাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।

গ্রেফতার আসামি আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম আবুল কালামের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শামীমের মনোমালিন্য তৈরি হয়। শামীম ও তার বন্ধু স্বাধীন, আকবর ও সুমন আবুল কালামকে কৌশলে বাসা থেকে অপহরণ করে রাজধানীর বোটানিক্যাল গার্ডেনের পূর্ব পাশে পানির ডোবার কাছে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাসের নিচে লুকিয়ে রাখে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে পরদিন রাতের বেলায় তারা ঘাসের নিচ থেকে ভিকটিমের মরদেহ তুলে বস্তায় ভরে শামীমের ভাড়া করা দুয়ারীপাড়ার বাসার মেঝেতে গর্ত করে পুতে রেখে মাটি দিয়ে পুনরায় গর্ত ভরাট করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রেফতার শামীম ও স্বাধীনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিম মো. আবুল কালামের মরদেহের কঙ্কাল পুলিশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকবরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris